পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ ○○ কল্পদ্রুম | “ দেবশৰ্মা • • অঙ্গর ” পাইয়া স্বদেশের মায়া কাটাইয়াছেন! তাহারা সশরীরে স্বর্গমুখ ভোগ করিয়া “ মৰ্ব্যের ” মোহে আর মুগ্ধ হইতে চান না ! ভারতবাসীরা সকল সাধ এসময় গিটাইয়া দেখিয়াছেন, কোথাকার জল কোথায় মরে । যুবক মুনিকুমারদের হৃদয়ে যুবতী মুনিকুমারীকে দেখিয়া এক সময়ে “ স্বাধীন প্রণয়ের ” বেশ তরঙ্গ উঠিয়াছিল। ছেলেদের বাড়াবাড়ি দেখিয়া কৰ্ত্তারা অমনি গান্ধৰ্ব্ব বিবাহের ব্যবস্থা দিয়া সারিয়া গিয়াছেন । তখন পথে ঘাটে বনে উপবনে যুৱক যুবতীতে দেখা শুনা হইলেই গঙ্গাজল বিবদলের অপেক্ষ থাকিত না, অমনি গান্ধৰ্ব্ব বিধিমতে দুই হাত এক হইয়া যাইত। পাঠক ! সে কেমন মুখের দিন ছিল। আমাদের বৃন্দাবনের কদম্বতলার ব্রজবালারা বড় ফেলা যান না। এদের কাছে কেহ বাহাদুরী লইতে পারিৰে না । স্বাধীন প্রেমের নিশান এর C FI खेड़ाहेब গিয়াছেন, বোধ হয় আর কোন জাতি এমন পারিবে না । তারা “ সব সর্থী মিলে ” নিকুঞ্জকাননে, যমুনার জলে, রাসলীলায়, ঝুলান যাত্রায়, দোলোৎসবে যে সব প্রেমকা গু করিয়া গিয়াছেন, তাহ ঢাকিবার যো নাই । আহা ! তাহারা যখন নবীন নটবর শ্যামচাদকে পৃষ্ঠে করিয়া বেড়ি সাজিয়া ও হাতী সাজিয়া ব্রজের পথে পথে, মাঠে মাঠে বনে বনে বেড়াইতেন ; সে কি দিন ছিল ? তখন “ বাশীর রবে ” অনায়াসে একজনের স্ত্রী আর একজনের “ প্রাণ রাধা • সাজিতে পারিত। যুবক পাঠক ! বল দেখি সে কেমন দিন ছিল ? এখন কাহার বোয়ের পানে তাকাইলে পুলিষে ধরিয়া লইয়া যায়, তখন কে কারে ধরে, তখনকার মন্ত্র ছিল “আনি মানি জানি না পরের মেয়ে মানি না।” যাক সে সব দেবলীলা ! তোমাদের সঙ্গে তাহার তুলনা হইতে পারে না । তোমাদিগকে সাধু দৃষ্টান্ত দেখাইবার জন্য, সচ্চরিত্রতা শিখাইবার জন্য, সতীত্বের গুণ জাহির করিবার জন্য “ কলঙ্কিনীর - কলঙ্ক ভাঙ্কিবার জন্য “ মানিনীর ” মনে মান বাড়াইবার জন্য যুবক যুবতীতে নির্জনে কেমন করে মিলিতে হয়, তাই দেখাইবার জন্য “ উদাসীন “ ভারতবাসিকে “ সংসারী ” করিবার জন্য ও সব দেবলীলা হইয়াছিল! এর সঙ্গে তোমাদের উপমা হয় না। আমিও তাহা স্বীকার করি, আরো বলি যে অশিক্ষিতাবস্থায় ইঞ্জিয় সুখলালসা চরিতার্থ করিতে গিয়া স্বাধীন প্রণয়ের তুফানে পড়িয়া যে ভারতসমাজ