পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

嘯 প্রতিবাদ । ৫৭৯" রাবণের আবির্ভাব শৌর্য্য, বীৰ্য্য, কীৰ্ত্তিকলাপ, বৈরোৎপত্তি ও রশোদ্যম অতীব কৌতুকাবহ,—অতীব বিস্তৃত—এবং কাব্যকারগণের বর্ণনীয় মহামূল্য সামগ্ৰী স্বরূপ। মহর্ষি মার্কণ্ডেয় এক জন বিখ্যাত পৌরাণিক ; আর বেদব্যাসের ত কথাই নাই, শ্রুতি স্মৃতি বিশারদ ;–বেদে আছেন, পুরাণে আছেন, স্মৃতিতে আছেন, সাহিত্যে আছেন, ইতিহাসে আছেন,— প্রাচীন সংস্কৃত শাস্ত্রের যে ভাগে অবলোকন কর, সৰ্ব্বত্রই ব্যাস ; ইনি সৰ্ব্বজ্ঞ এবং পৃথিবীতে ইহার তুল্য লিপিশক্তিসম্পন্ন পুরুষ কখন প্ৰাছ ভূত হন নাই। ইহাদের মধ্যে কেহই কি একবার রামচরিত্র লিখিতে চেষ্টা করিলেন না ? অথবা সামান্য ব্যাপার বলিয়া উপেক্ষা করিলেন ? কি আশ্চৰ্য্য ব্যাপার! ভারত যুদ্ধের বহু পূৰ্ব্বে রামায়ণবর্ণিত অদ্ভূত ব্যাপার ঘটিয়াছিল, কিন্তু লেখকাভাবে বর্ণিত হয় নাই। পরে শত কি সহস্র বৎসরাস্তরে কুরু পাণ্ডবের যুদ্ধ ঘটনা হইল। বেদব্যাস সেই ঘটনা গ্রন্থাকারে প্রকাশ করিলে, সেই সময় মহর্ষি বাল্মীকি প্রাদুর্ভূত হইয়া উহা পাঠ করিলেন । তখন গ্রন্থ প্রণয়নে তাহার বাসনা হইল! কিন্তু কি লিখিবেন ? তখন অতিবৃদ্ধ প্রপিতামহের আমলে কি ঘটনা হইয়াছিল, তাহাই খুজিয়া খুজিয়৷ রামায়ণ গ্রন্থ সংগ্ৰহ করিলেন ! লেখকের কি চিন্তাশক্তি ! বলিহারি যাই ! এমন আশ্চৰ্য্য যুক্তি আমরা কখন শুনি নাই, কেবল একটা নয়, তিনি এই প্রকার অনেক যুক্তি বাহির করিয়াছেন। তাহার দ্বিতীয় যুক্তি এই যে,যে গ্রন্থে আর্য প্রয়োগ অধিক, তাহাই পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী এবং যে গ্রন্থে তাহ অল্প,তাহাই আধুনিক। এই যুক্তি কতদূর সঙ্গত পাঠকগণ তাহার বিচার করিবেন। আমরা জানি যিনি যেরূপ শাস্ত্রালোচনা করেন, যেরূপ সমাজে থাকেন, তাহার ভাষা ও রুচি তদনুরূপ হইয়া থাকে। বেদব্যাস মহর্ষি-পরাশরপুত্র, ইনি কূটার্থ ও বহু বিস্তৃত শ্রুতি স্মৃতি সকল অধ্যয়ন পূৰ্ব্বক অসাধারণ ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন এবং শ্রুতি-স্মৃতি-পরিশীলনের পর তাপস-সমাজে সৰ্ব্বদা অবস্থান করিতেন। কিন্তু বাল্মীকি সেরূপ ঋষি নহেন ; ইনি যথার্থ কাব্যকার ; ভারতীয় কাব্যকোষে প্রবেশ করিয়া ইনি একবারে মুগ্ধ হইয়াছিলেন এবং মনের সাধে মহামূল্য রত্বরাজি সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন ; সুতরাং তদীয় গ্রন্থ মে কাব্যাংশে উৎকৃষ্ট হইবে, তাহার আর ৰৈচিত্র্য কি ? নানা বিষয় চর্চা করিলে সকলগুলি কখনই বিশুদ্ধ হইয়া উঠে না, কিন্তু একটার উপর একাগ্রচিত্ত হইলে অবশ্যই তাহার উৎকর্ষাকুভব করা যায়। এই কারণেই ভারতরচয়িতার