পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতিবাদের প্রতিবাদ । ¢४१ রাখিলে কস্মিন কালে তাহীর ভ্রম সংশোধন হয় না। প্রতিবাদকারী আমার অপেক্ষা অধিক প্রাজ্ঞ ও সৰ্ব্বশাস্ত্রদর্শী হন, ভালই ত ; ছোট বড় লইয়া সংসার ; এবং পরস্পরের আমুকুল্যে এই অসীম বিশ্বব্যাপার চলিতেছে। আমাদের নিত্য নৈমিত্তিক যাবতীয় কাজ পরস্পরের সহানুভূতিসাপেক্ষ। ছোট বড়র সাহায্য লইতেছে ; দরিদ্র ধনীর সাহায্য লইতেছে। দুৰ্ব্বল বলবানের সাহায্য লইতেছে ; মুখ পণ্ডিতের সাহায্য লইতেছে। যিনি এ প্রকার সাহায্যের প্রার্থী নন, কষ্মিন্ কালে তাহার উন্নতি হয় না। আমার মতটী সাধারণের নিকট প্রকাশ করায় এই উপকার হইয়াছে যে, যদি উহা অসিদ্ধ ও ভ্ৰমাত্মক হয়, বিজ্ঞ জনে সে ভ্রম দূর করিয়া দিতে পরিবেন। * যাদব বাবু বিদ্যানুরাগী ও অমুসন্ধিৎসু ব্যক্তি হইয়া সম্পাদকের প্রতি কেন দোষারোপ করিয়াছেন, তাহ বলিতে পারি না । কেহ কোন নুতন কথা কহিলেই তার সৰ্ব্বনাশ। এই দোষে ভারতবর্ষ উৎসন্ন গিয়াছে। জ্যোতিষে, চিকিৎসাশাস্ত্রে যে কোন বিদ্যায় বল,—একবার যে সিদ্ধাস্ত হইয়া গিয়াছে, তাহার উপর আর দ্বিরুক্তি করিবার যো নাই ; তাহা হইলেই ধৰ্ম্মে প্রত্যব্যয় ঘটবে। এ সকল কুসংস্কারের দিন ত গিয়াছে –ভারতে এখন ত আর সে স্বৰ্য্য উদয় হয় না ! এখন সকলেই অনায়াসে আপন মত প্রকাশ করিতে পারেন, সকল বিষয়েই কথা কহিতে পারেন, রাজনীতি সম্বন্ধেও বুক মেলিয়া কথা কহিতেন,—আজ ছুদিন কেবল পারেন না,—মুখে বলগা পড়িয়াছে। যাদব বাবু দেখিয়াছেন,— কল্পদ্রুমেও তিনি মুদ্রাযন্ত্র আইনের অনেক টুকু আভাস আনিয়া ফেলিয়াছিলেন । এই বহু লোকগর্ভ ভারতবর্ষ নানা বিদ্যারত্বের আকর। আজি আবার ইংরাজি বিদ্যার চর্চায় সে খনিস্থ মণিখণ্ডের অন্তর্নিহিত সুদৃশ্য অঙ্গরাগ প্রস্ফুটিত হইয় পড়িতেছে। মণির উপরিস্থিত কুসংস্কার-মালিন্য পরিষ্কৃত হইতেছে। স্বর্ণলঙ্কায় সোণ সস্তা, রাত্রি দিন চৌদিকে দুর্দান্ত নিশাচরগণ ফিরিতেছে ; নিরবচ্ছিন্ন রাবণের চিত৷ জলিতেছে ; কাণে অঙ্গুলি দিয়া সেই প্রবল হতাশনের ধুধু শব্দ শুনিতাম। কিন্তু আর সে কনক লঙ্কায় সোণ নাই ; নিশাচরের সঙ্গে আর কাহারও সাক্ষাৎ হয় না ; রাবণের আস্ত্যেষ্টিক্রিয়া হইয়া গিয়াছে,—কনকলঙ্কার হৃদয়ে আর সে চিতু