পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@@9 কল্পদ্রুম | পড়িতে লাগিলাম,বাল্মীকি ততই ব্যাস অপেক্ষ আধুনিক কবি বলিয়া বিবেচিত হইলেন। তাহার কারণ প্রথম প্রস্তাবে বিবৃত হইয়াছে। গুরুতর বিধয়ের পাঁচ সাত জনে বিচার করিলে সত্যকে অধিকক্ষণ অপলাপ করা যায় না-নিগূঢ় তত্ত্বটুকু শীঘ্ৰ বাহির হইয়া পড়ে। আমার প্রস্তাবের যে যে স্থল অপরিস্ফুট ছিল, যাদব বাবুর প্রতিবাদে তত্তৎস্থল পরিষ্কার ও বিশদ হইয়া পড়িবে। প্রতিবাদকারী মহাশয় বলেন যে,আমি মহাভারত ও রামায়ণের আদ্যোপাস্ত না পড়িয়া একটী অসঙ্গত মত প্রকাশ করিয়াছি । কেবল আমাদের কথা কেন ?--বাঙ্গালার মুটে মজুর দোকানী পসারী পৰ্য্যন্ত ঐ গ্রন্থদ্বয়ের আদ্যোপাস্ত পড়িয়াছে ;—একবার নয়, বারম্বার পড়িয়াছে। তাহারা মূল পুস্তকের কথা না বলিতে পারুক, কিন্তু উভয় পুস্তকের স্থল স্থল বিবরণগুলি জানে ; মহাভারতে রামোপাখ্যান আছে, ইহা তাদেরও অবিদিত নাই । মহাভারত ও রামায়ণ আমি একবার পড়িয়াছি, যখন আবশ্যক হয় আবার পড়ি। যাবৎ অনুসন্ধেয় বিষয়ের সমাধান না হয়, বারম্বার পড়িতে থাকি ; মনের তৃপ্তি জন্মিলে অধ্যয়ন ত্যাগ করি । যাহাতে আমার দৃষ্টি নাই, তদ্বিষয়ে কথা কহিবারও অধিকার নাই,—অনধিকার চর্চা আমরা ঘূণাকর জ্ঞান করি, তাহাতে আমাদের প্রবৃত্তি যায় না । এখন প্রকৃত প্রস্তাবে আমরা অবতীর্ণ হইতেছি । কিন্তু পূৰ্ব্বেই এ কথার উল্লেখ করা আবশ্যক,– আমরা যুক্তিসম্মত বিচার করিব। ভবিষ্যদ্বাক্যে আমাদের বিশ্বাস নাই । কেহ অমর হইলেন, কেহ লক্ষ বৎসর বাচিলেন, কেহ দশ হাজার বৎসর বাচিলেন, সে কথা আমরা বিশ্বাস করি না । মন্ত্র বলেন, সত্যযুগে মনুষ্যের পরমায়ু চারি শত বৎসর ছিল, ত্রেতাযুগে তিন শত বৎসর, দ্বাপরে দুই শত বৎসর এবং কলিতে লোকের আয়ুষ্কাল এক শত বৎসর মাত্র— অরোগাঃ সৰ্ব্বসিদ্ধার্থাশ্চতুবৰ্ধশতাযুষঃ। (২) কৃতে ত্ৰেতাদিষু হ্যেষামায়ুত্ত্ব সতি পাদশঃ। ১ । ৮৩ (২) মানব ধৰ্ম্মশাস্ত্রের টাকাকার কুলকভট, আবুজাল পরিসংখ্যা বিষয়ে শক্ষিত হইয়া এই শ্লোকে মত এইরূপে রক্ষা করিতেছেন— ধৰ্ম্মবশাদধিকাযুযোইপি ভবত্তি তেন দশ বর্ধসহস্রাণি রামেরাজ্যমকারয়দিত্যদ্যবিরোধঃ । শতায়ূৰ্ব্বৈপুরুষ ইত্যাদি শ্রুতে শতশব্দে বহুত্বপরঃ কলিপবো বা ।