পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৬০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতিবাদের প্রতিবাদ । \ყe Y

  • অন্যান্য ঋষিগণ তাহাতে বিস্তর অভিনব বিষয় ক্রমশঃ সন্নিবেশিত করিয়া অসিতেছেন ।

সৰ্ব্বশেষে ষাট লক্ষ শ্লোকাজুক যে মহাভারতখানি রচিত হইয়াছিল, তাহার মধ্যে ত্ৰিশ লক্ষ শ্লোক স্বর্গে প্রদত্ত হইয়াছে, পিতৃলোকে পঞ্চদশ লক্ষ এবং গন্ধৰ্ব্ব লোকে চতুর্দশ লক্ষ শ্লোক পঠিত হয়। মর্ত্যে এক লক্ষ শ্লোক `यi८छ् । এ কথার মৰ্ম্ম আর কিছুই নহে । কালক্রমে অন্যান্য ঋষিগণ মহাভারতের কোন কোন শ্লোক পরিত্যাগ করিয়াছেন, এতদ্বারা তাহাই বুঝিতে হইবে। মর্ত্যে অদ্যাপি এক লক্ষ শ্লোক থাকিবার কথা লিখিত হইয়াছে । একশতসহস্ৰস্তু মানুষেষু প্রতিষ্ঠিতং । ১০৯ ৷ কিন্তু কোন পুস্তকেই এক লক্ষ শ্লোক দৃষ্ট হয় না। আবার পর্ব ংগ্রহে যেরূপ শ্লোক সংখ্যার কথা লিগিত হইয়াছে, তাহাও গণনা করিলে ৯৮৪৭৭ শ্লোকের আপিক হয় না । বৰ্ত্তমান প্রচলিত মহাভারত ব্যাসের যে রচিত নহে, তাহার আর কয়েকট প্রমাণ দেখুন। মহাভারতের প্রারস্তে মঙ্গলাচরণে দেখা যায়,— ও নমো ভগবতে বাসুদেবtয় । ও নমঃ পিতামহtয় । ও নমঃ প্রজাপতিভ্য: ও নমঃ কৃষ্ণদ্বৈপায়নায় । ভগবান বাসুদেবকে নমস্কার । পিতামহকে নমস্কার । প্রজাপতিদিগকে নমস্কার । কৃষ্ণ দ্বৈপায়নকে নমস্কার । দেখুন, মহাভারতের সমস্ত অংশ কৃষ্ণদ্বৈপায়নের রচিত হইলে তিনি আপনাকে আপনি সমস্কার করিবেন কেন ? ইহাতে স্পষ্টই জানা যাইতেছে যে, মহাভারতের অধিকাংশ স্থল অন্যান্য ঋষিদিগের রচিত এবং তাহার ব্যাসের পরবর্তী লোক । শিক্ষাগ্রন্থেও আমরা এইরূপ একটা কৌতুক দেখিতে পাই ! শিক্ষাগ্ৰন্থখনি, পাণিনির রচিত বলিয়া সৰ্ব্বত্র প্রথিত । কিন্তু, উহাতে গ্রন্থকার পাণিনিকে প্রণাম করিতেছেন--

  • প্রস্তাবলেখক পুৰ্ব্ব ফরমাগত বালী-তারা-বৃত্তান্তটা প্রথমে আমাদের নিকটে, লিখিয়া পঠাইয়াছিলেন। পরে উহা পরিত্যাগ করিতে লেখেন ; কিন্তু আমরা যে সময়ে তাহার পত্র প্রাপ্ত হই, তখন উহা মুদ্রিত হইয়া গিয়াছিল। স্বতরাং ঐ অংশ টুকু উঠাইয় দেওয় ষ্টয় নষ্ট । অতএব পাঠকগণ ঐ অংশটা পরিত্যাজ্য বিবেচনা করি বেন। ক—স । --

( १७ )