পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৬১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\b>。 কল্পাঞ্চম | হইয়া আসিয়া দুঃখেও বুক ফাটতেষ্ট্রেমনে মনে ভাবিতেছি এমন কুকৰ্ম্ম কেন করলাম, এ অপেক্ষ আমার যে আত্মহত্যা ছিল ভাল। - বলিয়া যুবতী কাদিতে লাগিল । н পুলিব ও দর্শকবর্গ এই কথা শুনিয়া চলিয়া গেল। দর্শকদিগের মধ্যে একজন কহিল “ মাগী উপযুক্ত শিক্ষা দিয়েছে। ” আর এক জন কহিল “ আমার ওরূপ হলে দুজনকেই কেটে ফাঁসি যেতাম।” একজন যুব দর্শক অপর যুবাকে কহিল “গমস্ত বেটার কপাল ভাল নানালঙ্কার ভূষিত। ” দ্বিতীয় যুব কহিল “ আমি ওরূপ জমীদার পেলে পেট ভাতায় চাকরী করি। “ দেবগণ চাহিয়া দেখেন পিতামহ নিকটে নাই । অনুসন্ধান করিতে করিতে দেবতারা তাহাকে একটা বটবৃক্ষের তলে প্রাপ্ত হইলেন। তখন তিনি নয়ন মুদ্রিত করিয়া দুর্গা নাম জপ করিতেছিলেন । নারায়ণ ডাকিলেন “ পিতামহ । পিতামহ ! উঠুন। ” ব্ৰহ্মা নয়ন উন্নীলন করিয়া কহিলেন “ বরণ ! ও কি দেখলাম ? ” বরুণ। আপনার স্বই বিশ্বরাজ্যরূপ রঙ্গভূমিতে দম্পতী ব্যবহার প্রস্থসনের অভিনয় । হাতে কলমে করেচেন কাজ না দে থলে হৃদয়ঙ্গম হবে কেন ? এখান হইতে দেবগণ জেলখানার উত্তরাংশে যাইয়া উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন “ এই স্থানে গঙ্গাতীরে ছুটী অস্তৃত সুড়ঙ্গ আছে। দেবরাজ সুড়ঙ্গ দেখিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলে বরুণ সকলকে লইয়া দেখাইতে চলিলেন । - সকলে উকি মারিয়া দেখিয়া অত্যন্ত বিস্মিত হইলেন । নারায়ণ কহিলেন বরুণ ! এই মুড়ঙ্গ মধ্য দিয়া গৃহাদির ভগ্নাবশেষ দেখা যাইতেছে উহ! কি ? বরুণ। অনেকে ইহাকে মুনিকোটর কহে । তাহার কহে—পূৰ্ব্বকালে কোন মুনি এই স্থানে বসিয়া তপস্যা করিতেন। আবার কতকগুলি লোকে কহে—ইহ দম্বদিগের বাসগৃহ । ফলতঃ এখানে দস্থ্য থাকিবার কোন সস্তাবনা নাই, মুনিকোটর হওয়াই সম্ভব। কিছু দিন হইল এখানকার ভূতপূৰ্ব্ব জজ টি, স্যাণ্ডিস সাহেব ঐ গহবরদ্বয়ের উপরিভাগ ইষ্টক দিয়া বাধাইয়া দিয়াছেন । অনেকে এই গহবর আগ্রহ সহকারে দেখিয়া থাকেন ।