পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৬২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের সর্ত্যে আগমন । ○>び চলিয়া গেল । তখন তাহারা পরস্পরে কহিতে লাগিল “ ঔর বহুৎ গাড়ি যাওঙ্গে, উস বকং কোইকো বাৎ নাহি শুনকে একদম কাচকো , গাড়িকে ভিতর ঘুস যাঙ্গে ৷ ” এদিকে টুে,ণ ছুটিতে ছুটতে আসিয়া সাহেবগঞ্জে উপস্থিত হইল । অমি এক জন বুড় চাপরাসী হাকিতে লাগিল—“ সাহেবগঞ্জ ” “ সাহেবগঞ্জ “ এ পূীয়া, কারাগোল, দারজিলিং যানে ওয়াল, উতার। ” “ সাহেবগঞ্জ ” “ সাহেবগঞ্জ । ” ইন্দ্র। বাঃ ! এ ষ্টেষণটা বড় মুন্দর। বরুণ ! এস্থানের নাম কি ? বরুণ | এস্থানের নাম সাহেবগঞ্জ। এখানে রেলওয়ে কোম্পানীর ডিষ্ট্রক্ট আফিষ আছে। বিংশতি বৎসর পূৰ্ব্বে এস্থান বন জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। রেলওয়ে হওয়ার পর হইতে দিন দিন ইহার শ্ৰীবৃদ্ধি হইতেছে। এখানকার রাস্তাঘাট বেশ পরিষ্কার ও প্রশস্ত। ষ্টেষণের বাহিরেই ইংরাজ মহল। ইংরাজ মহলে রেলওয়ে গাডের বাস করিয়া থাকে। ইংরাজ মহলট দেখিতে বড় সুন্দর। এই সাহেবগঞ্জের পাশ্বে ই বিখ্যাত সিক্রিগলি । সিক্রিগলিতে হুমায়ুনের সহিত সের সার একটি যুদ্ধ হইয়াছিল। ঐ স্থানের কেল্লার ভগ্নাবশেষ অদ্যাপিও দেখিতে পাওয়া যায় । সাহেবগঞ্জে অনেকগুলি বাঙ্গালী বাস করেন । র্তাহীদের স্বভাব সাধারণতঃ বড় মন্দ নহে। অনেক বাঙ্গালী বেশ্যাও এখানে আছে। অশুভক্ষণে চৌদ্দ আইন জারি হওয়ায় কলিকাতার যত বেশ্য চারিদিকে পলাইয়া আসিয়া বিরাজ করিতেছে। সাহেবগঞ্জে অনেকগুলি মাড়োয়ারির বাস । তাহাদের উপাস্য দেবত। কৃষ্ণজীর একটি মন্দির আছে । তদ্ভিন্ন মহাবীর হনুমানেরও ২ । ১ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মন্দির দেখিতে পাওয়া যায়। এখানে রেলওয়ে কোম্পানীর একটি হাসপাতাল ও একটী ডাক্তার আছেন। 晦 ব্ৰহ্মা । বৰুণ ! সাহেবগঞ্জে ত অনেকক্ষণ গাড়ি থাকে। বরুণ । এই স্থানে সাহেবের খান খেয়ে নেয়। সাহেবগঞ্জের পর পারে কারাগোলা । কারাগোল দিয়া পূর্ণিয়া ও দারজিলিং যাইতে হয়। সাহেবগঞ্জের ঘাটে ষ্টিমারে উঠিয়া দুই ঘণ্টায় কারাগোলায় পোহছান যায়। পরে তথা হইতে গোরুর গাড়ির ডাকে পূর্ণিয় এবং দারজিলিং যাইতে হয়। এই সময় “ সাং ” শব্দে একটা হেচকা টান মারিয়া ট্ৰেণ ছপ হপ শব্দে ছুটিতে ছুটতে মহারাজপুর অতিক্রম করিয়া তিন পাহাড়ে আসিয়া