পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৬৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কপদেম। ক্ষিতীশবংশাবলীচরিতম্। (প্রথম পরিচ্ছেদ--২ ) পর দিন প্রাতঃকালে ব্রাহ্মণের সন্ধ্যাবনদনাদি নিত্য ক্রিয় সমাপন করিয়া রাজার সহিত সাক্ষাৎ করিতে চলিলেন। রাজা প্রাসাদ হইতে দেখিলেন, ব্রাহ্মণদের পায়ে চৰ্ম্ম-পাদুকা, গাত্রে সুচিবিদ্ধ বস্ত্র ; পথে যাইতে যাইতে র্তাহারা তাম্বুল চৰ্ব্বণ করিতেছেন। এই সকল অনাচার দেখিয় তিনি অতিশয় ক্ষুব্ধ হইলেন। এমন কি ?—এত যত্ন করিয়া ব্রাহ্মণদিগকে আনাইলেন, কিন্তু র্তাহাদের সহিত সাক্ষাৎ করিতেও আর ইচ্ছা হইল না —এই অংশ টুকু রচয়িতার কল্পনা । অতঃপর দ্বিজপঞ্চকের যে দৈবশক্তি বর্ণিত হইবে,--শুষ্ক কাষ্ঠ নব দল ভরে মুশোভিত হইবে,—এই অভূত পূৰ্ব্ব ঘটনার ७णै छूभिक डिब्र ञांब किछूई नग्न । * ব্রাহ্মণদিগের পরিধেয় এবং আচার ব্যবহার দেখিয়া আদিশূর কেন বিস্ময়াপন্ন হইলেন, তাহ আমরা বুঝিতে পারি না। পাঞ্চালাদি প্রদেশের আচার তিনি ভালরূপ জানিতেন । জানিবার সুযোগও অনেক ছিল । তিনি রাজা, মনে করিলে সকল সন্ধান লইতে পারিতেন—আমরা সে স্বযোগ বলিতেছি না। আদিশূর কন্যকুজরাজের দুহিতাকে বিবাহ করেন। নিজ মহিষীর মুখে তিনি সমস্ত বৃত্তান্ত অবগত হইতে পারিতেন। কেবল এই সুযোগটা নয় ;—তখন পথ অতি দুর্গম ছিল বটে, কিন্তু তীর্থ দর্শনেও সৰ্ব্বদা বঙ্গের লোক পশ্চিমাঞ্চলে যাইতেন । অধিক কথায় কাজ কি ?— এই পুস্তকের প্রারম্ভেই তাহার উল্লেখ করা হইয়াছে। আদিশূর যে ব্রাহ্মণের so ভট্টাদির বিবরণ শুনিয়াছিলেন, তিনি তীর্থ ভ্রমণ প্রসঙ্গেই পঞ্চালদেশে kয়াছিলেন। অতএব তাহার কাছে নৃপতি সকল বৃত্তান্ত জানিতে পারিতন। বিশেষতঃ রাজাদিগের এই অভ্যাস ছিল, তাহারা পরিহাস, কৗতুক, অদ্ভূত গল্প শুনিতে বড় ভাল বাসিতেন। কনোজ-ব্ৰাহ্মণদের এরূপ