পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৬৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্তে আগমন । ৬৫৭ হয় রোদন করিবার জন্যই স্বষ্টি করিয়াছেন। শোক তাপ অসহ্য হওয়াতে পরিশেষে রাজ্ঞী ঈশ্বরের উপাসনা ও সৎকার্য্যে দান ধ্যানে অনুরতুল থাকিয়। कट्टे निन यां★न कब्रिटेडेंटझन । দেবগণ এই কথা শ্রবণ করিয়া সেই স্থানে ৰসিলেন। পিতামহ, একবার বাড়ীখানির প্রতি দৃষ্টিক্ষেপ করিয়া কহিলেন বরুণ! রাণীর জীবন বৃত্তান্ত আমাকে সংক্ষেপে বল। • বরুণ। মহারাণী স্বর্ণময়ী বাঙ্গালা ১২৩৪ সালে বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত ভাটাকুল নামক পল্লীগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । ১২৪৫ সালের বৈশাখ মাসে রাজা কৃষ্ণনাথের সহিত ইহার বিবাহ হয়। ইংরাজী ১৮৪৪ সালের অক্টোবর মাসে রাজা নিজ হস্তে গুলি করিয়া আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুকালে তিনি সমস্ত বিষয় ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর নামে উইল করিয়া যান, এজন্য রাণীকে মুপ্রিমকোটে ঐ কোম্পানীর নামে অভিযোগ করিতে হইয়াছিল । বিচারে স্থিরীকৃত হয়,রাজা যে সময় উইল করেন, তখন র্তাহার মতের স্থিরতা ছিল না ; অতএব উইল নামঞ্জর। এই জয়লাভ করিয়া রাণী অতুল ঐশ্বর্য্যের উত্তরাধিকারিণী হইলেন । ইহার লক্ষ্মী ও সরস্বতী নামে দুই কন্যা ভিন্ন আর পুত্র সন্তান জন্মে নাই। রাজা ও মৃত্যুকালে পোষ্যপুত্ৰ লইবার কোন উইল করিয়া যান নাই । রাণীর দুই কন্যা লক্ষ্মী ও সরস্বতী মাতাকে কাদাইয়া পলাইয়াছেন। তাহার মৃত্যু হইলে রাণী শোকে তাপে যেরূপ আৰ্ত্তনাদ ও বিলাপ করিয়াছিলেন, অদ্যাপি আমার স্মরণ হইলে চক্ষে জল আইসে। ক্রমে সুশীলা রাণী সমস্ত শোক পরিত্যাগ করিয়া দান ধ্যানে রত হইলেন। নিজ অর্থ সাধারণের উপকারার্থ ব্যয় করিতে লাগিলেন । বঙ্গদেশে কেহই ইহার মত দানশীল নাই । রাণী ১৮৪৭ অব্দে যখন বিষয় প্রাপ্ত হন, তখন অনেক টাকা ঋণ ছিল ; কিন্তু সুদক্ষ দেওয়ানের তত্ত্বাবধানে অচিরাৎ সমস্ত ঋণ পরিশোধ হইয়া এক্ষণে বিষয় বৃদ্ধি হইয়াছে। রাণীর নিকট জাতি কিম্বা বর্ণভেদ নাই। ইনি সকলকেই সমান চক্ষে দেখেন । ইহার দান দর্শনে সন্তুষ্ট হইয়া গবর্ণমেণ্ট ১৮৭১ অব্দের আগষ্ট মাসে মহারাণী উপাধি প্রদান করেন। ঐ বৎসর এই রাজবাটাতে একটা দরবার করিয়া ইহাকে এক খানি সনন্দ দেওয়া হয়। দরবার স্থলে রাজসাহীর কমিশনর ই, ডবলু, মলোনি সাহেব উপস্থিত ছিলেন। গবর্ণমেন্ট রাণীকে মহারাণী উপাধি দিয়াও তৃপ্ত হইতে পারেন নাই। সুতরাং ১৮৭৮ অব্দের (b-9)