পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৬৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ኃጫ o কল্পদ্রুম | বরুণ। এই পুষ্করিণীর নাম কৃষ্ণসায়ের । এমন বৃহদাকার সরোবর বদ্ধ মানে আর দ্বিতীয় নাই । পুষ্করিণীর প্রত্যেক পাড়ে দেখ কেমন সুন্দর সুন্দর পুষ্পবৃক্ষ গুলি ‘নানা প্রকার ফল পুষ্পে শোভা পাইতেছে। ওদিকে দেখ কতক গুলি কামান পাতা রহিয়াছে। প্রত্যহ রাত্রি এক প্রহর এবং প্রাতে চারিটার সময় এই স্থান হইতেই এক এক বার কামান দাগ হয় ! দেবগণ চাহিয়া দেখেন তাহদের নিকটে একটী বাবু দাড়াইয়া আছেন। বাবুটার মুখ হৰ্ষযুক্ত। দেখিলে বোধ হয় বাৰু যেন কোন একটী সৎকাৰ্য্য করিয়া মনের আনন্দে ভাসিতেছেন । বাবু হঠাৎ একটী লোককে নিকটে আসিতে দেখিয়া হাসতে হাস তে কহিলেন “কেমন হে, খুব সস্তুষ্ট হয়েছে ? তুমি বল্পে না কেন আমার মত বাবু বৰ্দ্ধমানে আর পাবে না ! একি সহজ কথা!—মুখ থেকে খসতে না খসতে পাঁচ শত টাকার একজোড়া শাল খরিদ कृब्लिग्नां निजांभ । আগন্তক । ধরুন । বাবু। কি ? . আগ। আপনার শাল ফেরত এল । বাবু। আমি ভাঁজ করে দিলাম, দলা ললা হয়ে ফেরত এল কেন ? আগ। বল্লে আমি এমন ছোট লোক নই যে, হাজার টাকার চেয়ে শেষে পাঁচ শত টাকার শাল নিয়ে ক্ষান্ত হব । * এই কথা বলে,আপনাকে যা মুখে এল তাই বলে গালি দিয়া, শাল খানিকে কাচি কাটা করে পুটুলি বেধে ফেরত পাঠয়েছে। 腳 বাৰু। না হয়, না নিত। এমন খণ্ড খণ্ড করে পাঁচ শত টাকা নষ্ট করতে কি একটু মায়া হলো না ? একটু দয়ার সঞ্চার হল না ? আগ । সে ত আর আপনার স্ত্রী নয় যে দয়া মায়ার শরীর হবে । কিসে আপনার আয় পয় হবে তার চেষ্টা দেখ বে। তার ইচ্ছ, যে প্রকারে ইউক দশ টাকা উপার্জন করা, তার ইচ্ছা, যেন তেন প্রকারেণ আপনাকে পথের ফকীর করা । “ যা বল্পে * যাঙ্গ হউক হাজার টাকা কঞ্জ করে আমাকে অদ্যই এক জোড়া শাল-খরিদ করে দিতে হবে ; নচেৎ বেশ্য মহলে আমার মান সন্ত্রম থাকবে না। বলিয়া বাবু প্রস্থান করিলেন, আগন্তুক ও সঙ্গে সঙ্গে গেল । নারা । বরুণ ! আমি ত কিছু বুঝতে পারিলাম না।