পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৬৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७१२ কল্প ক্রম | জননীর আগমনে ত্রিলোকে আনন্দের উৎস উখিত হইয়াছে। নারদ মধুর তানে বীণা বাজাইতেছেন ; পঞ্চানন পঞ্চবদনে গান করিতেছেন ; ভৈরবে নাচিয়া নাচিয়া তাল ধরিতেছে। ভাবুক কবি ! তুমি কেন নীরব ? মুরজ বীৰ তুম্বকী লইয়া তুমিও অভিনয় ক্ষেত্রে অবতরণ কর। অন্য স্থানে প্রকৃতি দেবী যেন বৃদ্ধ হইয়াছেন ; দেহ শ্লথ হইয়াছে ; সৌন্দৰ্য্য নাই, লাবণ্য নাই ; অঙ্গের ভাবনে অভিলাষ নাই,—আর বেশ ভূষায় স্পৃহা নাই এখানে প্রকৃতির অঙ্গে চির যৌবন ঢল ঢল করিতেছে ; বেশ ভূষায় দেহ মুসজ্জিত ; অক্ষুন্ন রূপের গরিমায় স্থানটকে যেন হাসাইয়া তুলিতেছে। দেখ, পতিতজনকে উদ্ধারিতে সুরধুনীর একবার উদাম দেখ । সাগরাভিমুখে যাইবেন, গোমুখী অতিক্রম করিলেন। জলোচ্ছাস কল্লোল কোলাহলে গিরি-প্রাকার ভেদ করিয়া পাষাণ ফুটিয়া নাচিয়া নাচিয়া পাষাণে পড়িয়া আছাড়িয়া আছাড়িয়া ফেনফুৎকারে বেগে ছুটতেছেন ; – ভুবনের সৌন্দর্য্যভাব যেন মূৰ্ত্তিমান হইয় প্রবাহের অঙ্গে অঙ্গ ঢালিয়া ভাসিয়া ভাসিয়া যাইতেছে । দ্রবময়ী গঙ্গা মর্ত্যে আসিলেন । এই শান্তপদ হৃষীকেশ আশ্রম,—ঐ পবিত্র তপোবন ক্ষেত্র। সংসারে বীতরাগ যতি ও ব্রহ্মচারিগণ এই সকল পুণ্যভূমিতে কুটার বাধিয়া তপস্যা করিতেছেন। পতিতোদ্ধারিণী গঙ্গা কবে মর্তে আসিবেন, সতৃষ্ণ নয়নে চাহিয়া দেখিতেছেন, অদূরে হরিদ্বার,—ভক্তগণ জননীর প্রতীক্ষায় উৰ্দ্ধমুখে কাতর স্বরে মা মা বলিয়৷ ডাকিতেছে, ভাগীরথী দ্রুতপদে সাগরাভিমুখে যাইতেছিলেন, এখানে ভক্তগণের কাতরোক্তি শুনিয়া মন্থরগামিনী হইলেন, ইঙ্গিত করিয়া বলিলেন,—বৎস! আমি অধিকক্ষণ দাড়াইতে পারিব না । তোমরা আমার সুধীসম তোয় পান কর,এই পবিত্র সলিলে অবগাহন করিয়া স্নান কর, মুক্তিলাভ করিবে । এই সঙ্কেত করিয়া গঙ্গা চলিলেন ; কিন্তু মেহের এমনি দৃঢ়বন্ধন, তাহার উৎপত্তির স্থান হইতে সাগরসঙ্গম পৰ্য্যন্ত স্রোতঃস্থত্রে সংস্রব রাখিয়া গেলেন। o গঙ্গা গঙ্গোত্রী হইতে উৎপন্ন হইয়া গোমুখী প্রপাতে মহা আড়ম্বরে নির্গত হইতেছেন। পরে গির খণ্ডে ঘুরিতে ঘুরিতে সাহরণপুরের উত্তর ভূখণ্ডে দূেরান্ধনের পশ্চিমে আসিয়া বাহির হইয়াছেন। এই স্থান হরিদার । उ९°८ब्र कब्धल ७ भांब्राँश्शूद्र न१८ब्रव्र श्रट्त्र ठात्र भि*ाहेब्रा शाक्ल श्रांशिश्रम করিতেছেন। এই খানে দক্ষত্ত্বহিত সতী শিব নিন্দ শুনিয়া মনোদুঃখে