পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৬৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

28 কল্পদ্রুম ৭ : ‘. . -** s *s.* জুয়াচোর শিয়রে বসিল, যেন অভিভাবক হইয়া মশা তাড়াইতেছে। পথিক নিদ্রিত , জুয়াচোর তার কাণে পালক দিল, পধিক কাণ চুলকাইল একটুকু মাথা তুলিল। চোর অবসর বুৰুে সেই সময় ភ្នំ বালিস সরাইল । পথিক আবার নিদ্রিত, শ্রমের ។អត្តៈ बॆङ्ठं ; চৈার আবার কাণে পালক দিল, পথিক কাণ চুলকাইয়ামীণ। এই বার বালিসটা লইয়া চোর প্রস্থান করিল। চৌদিকে প্রহরী অষ্ট্ৰঞ্জীর চৌকী দিতেছে। চোৰ হয় ত ধরা পড়িল, শেষে ষোল আনার আট আনা লইয়া খাচিয় গেল । নয় ত কেহই কিছু জানিল না, ষোল আনাই চোরের হইল । হরিদ্ধারে উপযুক্ত বাস পাওয়া বড় দুর্ঘট । ধনাঢ্য লোকের কস্থলে সুরম্য অট্টালিকায় বাসা লইয়া থাকেন। তথাকার ব্যয় সহজ নহে ; সামান্য ব্যক্তির ক্ষমতায় তাহা ঘটিয়া উঠে না । সমৃদ্ধিমান ব্যক্তিগণ অতিথি ব্রাহ্মণদিগকে ভোজন করাইতেছেন, পাণ্ডাদিগকে দুই হাতে অর্থ ঢালিয়া দিতেছেন। ইংরাজ ও ধনী মুসলমানের কঙ্কলের প্রশস্ত পথের দুই পাশ্বের্ণ শ্যামল বৃক্ষচ্ছায়ায় তা পাতিয়া অবস্থিতি করেন। তা গুলির বিচিত্র বর্ণ বিচিত্র ঝালর যথার্থই লেন হরিদ্বারের বৃহং ব্যাপারের প্রতিযোগী হইবার জন্য বিশেষ নৈপুণ্যের সহিত রচিত হইয়াছে । অতিথি ফকির ও দরিদ্র যাত্রিদের কেহ বা কুটারে কেহ বৃক্ষতলে অবস্থিতি করে। তামাসাপ্রিয় যুব পুরুষের প্রকৃতি সঙ্গে গমন করিয়াছেন । সীধুপানে সরস চক্ষু ঈষৎ উলটাইয়া পিঙ্গলবর্ণ হইয়াছে। যুবক যুবতী কখন অশ্বশালায় ঘোড়ার দাম করিতেছেন, কখন বা হস্তী কিনিবার কল্পনায় আছেন। কখন নৃত্য গীত দর্শনে আহলাদে মাথা নাড়িয়া বাহবা দিতেছেন। কথন আবার স্নান করিতে গিয়া স্থির জলে জনতাজনিত ছোট ছোট ঢেউগুলি উলটি পালটি খাইয়া কাপিতে কাপিতে আসিতেছে তাই দেখিতেছেন। কখন পাণ্ডাদের গালি খাইয়া বিবাদ বাধাইতেছেন। হরিদ্বারে যাইতেছ, দূর হইতে কেবল কোলাহল শুনিতে পাইবে ; এক বর্ণও বুঝা যায় না। ক্রমে নিকটবৰ্ত্তী হইয়া নানা রঙ্গের মনুষ্য দেখিবে। প্রশস্ত পথ লোকে পরিপূর্ণ কেহ হাতীতে বসিয়া কেহ উটে চড়িয়া সাগরের তরঙ্গের ন্যায় দুলিতে দুলিতে যাইতেছেন। কেহ অশ্বে, কেহ অশ্বতরে কেহ বা বৃষে বসিয়া শত যোজনের প্রান্তি অবল পশুজাতিকে দিয়া স্বয়ং পুণফল,ভোগ করিতে অসি্তছেন। কেহ পালকীতে, কেহ দোলায়,