পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৬৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইন্দ্ৰধনু । \ኃዓድ» বোধ করি শৈশবাবস্থায় বয়স্যগণ সমভিব্যাহারে ক্রীড়া কৌতুকে খেলিতে খেলিতে পুষ্করিণীর শ্যামল তটে বসিয়া স্বচ্ছ জলে লোষ্ট নিক্ষেপ করিয়া দেখিয়াছ । ছোট ছোট ঢেউগুলি গোলাকারে সাতার निटड দিতে কূলের নিকটে আসিতে থাকে। তখন তোমার কি বিশ্বাস হয় ? যেখানে লোষ্ট ফেলিয়াছিলে, তথাকার ঢেউ খেলিতে খেলিতে সরিয়া আদিতেছে; তুমি তাহাই স্পষ্ট দেখিতেছ। আবার তরঙ্গবিক্ষোভে উৰ্ম্মিময়ী গঙ্গায় নৌকাযোগে পার হইয়াছ। বড় বড় ঢেউগুলি ফাফিয়া উঠিয়া কাপিয়া কাপিয়া একটীর উপর আর একটা পড়িতেছে। তরঙ্গের পর তরঙ্গ, একটর গায়ে আর একটর আঘাত লাগিতেছে, অবশেষে কুলে আসিয়া মহাশব্দ করিতেছে। তুফানের সময় গঙ্গার মধ্যস্থলে যদি নৌকাটা ছাড়িয়া দাও, তবে তরঙ্গের সঙ্গে নাচিতে নাচিতে উহা কুলে আসিয়া লাগে । ইহা দেখিয়া তোমার কি বোধ হয় ? তুমি কি স্পষ্ট দেখিতেছ না তরঙ্গের সঙ্গে মধ্যস্থলের জল ক্রমশঃ কুলের নিকট চলিয়া আসিতেছে ? তাহা স্পষ্ট দেখাইতেছে বটে, কিন্তু বাস্তবিক তরঙ্গের সঙ্গে জল অতি অল্পই সরিয়া যায়। লোষ্টাঘাতেও জল স্বস্থান হইতে অধিক দুর যায় না। যেটা তরঙ্গ দেখিতে পাও, তাহ লোষ্টাঘাতজনিত ফুরিত বেগ মাত্র। ইন্দ্ৰধন্থর সবিশেষ তত্ব জ্ঞাত হইবার নিমিত্ত তোমাকে তরঙ্গবেগের প্রকৃতি ভালরূপ বুঝিতে হইবে। জলে লোষ্ট নিক্ষেপ করিলে যেখানে লোষ্ট পতিত হয়, সে স্থল হষ্টতে অধিক দূরে জল সরিয়া যায় না, তাহার স্পষ্ট প্রমাণ দেখ। যেখানে লোষ্টট ফেলিলে, ঠিক তাহার মধ্যস্থলে যদি কিঞ্চিৎ দুগ্ধ ঢালিয়া দাও, তুমি দেখিতে পাইবে, তরঙ্গের সঙ্গে ঐ দুগ্ধ সরিয়া যাইবে না । ইহাতে প্রতিপক্ষ হইতেছে, লোষ্টাঘাতে জলের পরমাণু ঢেউ হইয়া চলিতে থাকে না ; চেউ লোষ্টাঘাতজনিত ক্ষুদ্রত আবেগ মাত্র। বিবেচনা কর, জলের পরমাণু গুলি— ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ । এইরূপ একটার পর আর একটা গায়ে গাঁয়ে সাজান আছে। (ক) বর্ণটী পুষ্করিণীর মধ্যস্থলে জলের পরমাণু এবং ( ণ ) বর্ণট কুলের নিকটস্থ জলের পরমাণু (ক) পরমাণুর উপর যদি লোষ্টাঘাত কর, তবে ঐ পরমাগুটীর আঘাত জনিত তেজে কাপিয় তাহার নিকটস্থ (খ) পরমাণুর অঙ্গে