পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন । 이》 কোম খানির অৰ্দ্ধ গুটাইত পাইল বায়ু ভরে লটাপট লটপট শব্দ করিতেছে। নারায়ণ একদৃষ্টে নৌকা দেখেন আর বরুণকে জিজ্ঞাসা করেন “ এখান এ আকারের বে " ? ওখান ও আকারের কেন ? ” বরুণ “ ইহার নাম পলোয়ার। উহার নাম ফুকনী ” ইত্যাদি নাম উল্লেখ করিয়া বুঝাইয়া দিতে লাগিলেন । El ব্ৰহ্মা । নৌকা দেখে আর কি হবে, এস একে একে স্নান সারিয়া লই । ইন্দ্র। এখানে এত বাহাদুরকাষ্ঠ কেন। বরুণ। এ স্থানটী ঐ কাষ্ঠ বিক্রয়ের একটী প্রধান বন্দর । এখানে কাষ্ঠ খরিদ করিলে অন্যান্য স্থান অপেক্ষ স্থলভ মূল্যে পাওয়া যায় । ইন্দ্র। আমার বৈঠকখানার ছাদ বদলাইতে হইবে এজন্য ২। ১ টা কাষ্ঠের প্রয়োজন ছিল। এখান হইতে লইয়া যাইবার কি সুবিধা হইবে না । সকলে স্নান করিতে জলে নামিবেন এমন সময়ে বরুণ কহিলেনঃ“ মৃজা পুরে অত্যন্ত চোরের উপদব, অতএব সকলে এক সঙ্গে স্নান না করিয়া এক একজন পাহীরা থাকা আবশাক । “ ঘাটে অপর লোক নাই, একটা করে ডুব দিতে কে আর চুরি করিবে বলিয়া পিতামহ দেখেন নিকটে এক সন্ন্যাসী নয়ন মুদ্রিত করিয়া বসিয়া আছেন । তদর্শনে তিনি দেবগণকে সন্ন্যাসীর নিকট দ্রব্যাদি রাখিতে আদেশ করিয়া কছিলেন “ ঠাকুর এ গুলোর প্রতি একটু একটু নজর রাখবেন। সন্ন্যাসী ঈযং হাস্য করিয়া ঘড়ি নড়িয়া সম্মতির লক্ষণ প্রকাশ করিলে দেবতারা নিশ্চিস্তমনে জলে নামিয়া গামচায় গ। মলিতে লাগিলেন। এই সুযোগে ভগুসন্ন্যাসী একটা বৃহৎ পোটলা অপহরণ করিয়া পলায়ন করিল। দেব তারা স্নান করিয়া উঠিয়া দেখেন সন্ন্যাসী নাই। তথ্রন অনুসন্ধানে প্রকাশ হইল নারায়ণের আগ্র প্রভৃতি স্থানের খরিদ গালিচ দুলিচার পোটলাট চুরি গিয়াছে। নারা । বেটা মলে মলে আমারই মাথায় হাত বুলালো । ব্ৰহ্ম। বরুণ, একি ! য়্যা ! সন্ন্যাসী-বেশে চোর । সাধু বেশে অসাধু ! মানুষকে ত চেনা ভার ? বরুণ। ভাগগি ক্যাস বাক্সটা হাত করে নি, তা হলেই কল কেতা যাওয়া ঘুরিয়ে দিত। এখান হইতে দেবতারা ভোগমায়া দেঞ্চি গমন করেন। উপস্থিত