পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৬৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

やbペ কল্পদ্রুম । o যতদূর অবিস্কার হইয়াছে, তদ্বারা জানা যায় যে কোন কোন জ্যোতিৰ্ম্ময় পদার্থ স্বস্থান,ত্যাগ করিয়া যায় না। তাহারা আপন আপন নির্দিষ্ট স্থানেই ঘুরিতেছে। দূরবীক্ষণ দ্বারা দৃষ্ট হয় যে, কখন কখন বৃহস্পতি পৃথিবীর মতি সন্নিহিত হয় এবং কখন উহা পৃথিবী হইতে দূরবর্তী হইয় পড়ে। সমস্ত গ্রহগুলি স্বৰ্য্যমণ্ডলকে পরিবেষ্টন করিয়া ঘুরিতেছে। সে কারণ কথন স্বৰ্য্যমণ্ডল পৃথিবী ও বৃহস্পতিগ্রহের মধ্যবৰ্ত্তী হয়, আবার কখন বৃহস্পতি ও পৃথিবী.বুরিতে ঘুরিতে স্বৰ্য্যের এক দিকে আসিয়া পড়ে। বৃহস্পতি ও তাহার উপগ্রহাদির পৃথিবী হইতে অবস্থিতির দুরতানুসারে আলোকের গতিরও নু্যনাধিক্য হয়। কিন্তু সে সমস্ত বিষয় এখানে লিখিতে হইলে প্রস্তাব বাড়িয়া যায় । সময়ান্তরে তাহ পাঠককে জ্ঞাত করা যাইবে । এখন তুমি জিজ্ঞাসা করিতে পার, আলো অতি দ্রুতগামী। এমন কি, প্রতি সেকেণ্ডে প্রায় ১৯২,০ • • মাইল গিয় থাকে । কিন্তু, শব্দ এত শীঘ্র চলিতে পারে না । অতি উচ্চে বিদ্যুৎ হইলে তাহার প্রভা ক্ষণকাল মধ্যে আমরা দেখিতে পাই ; কিন্তু বজনিনাদ অনেক বিলম্বে শুনিতে পাওয়া যায়। ইহার কারণ কি ? কেন আলো এত দ্রুতবেগে ছুটিতে পারে? পূৰ্ব্বে সকলে অনুমান করিতেন যে, অলোক সারবান কোন উপকরণ বিশিষ্ট পদার্থ। স্বৰ্য্যমণ্ডল হইতে উহ। নির্গত হইয়। চক্ষুতে পতিত হইলে আলোক জ্ঞান জন্মে ! সুবিজ্ঞ সৗর আইজাক্ নিউটনও এই মতের পোষকতা করিয়া গিয়া ছেন। তৎপরে এ বিষয়ের ভূরি অনুশীলন দ্বারা এখন প্রমাণ হইয়াছে যে, শব্দাদির ন্যায় আলোকেও এক প্রকার তরঙ্গবেগ অাছে। কার্য্যতঃ, দেখিতে পাওয়া যায়, শব্দ-তরঙ্গ অপেক্ষ আলোকের বেগ নিতান্ত অধিক । এক সঙ্গে তানলয়মানে বিবিধ বাদ্যযন্ত্র বাঙ্গাইলে এক সেকেণ্ডে ৩৮,০০০ আটত্রিশ হাজার শব্দ স্পষ্ট অনুভব করা যায়। অর্থাৎ এক সেকেণ্ড কাল মধ্যে ৩৮,০০০ বার কর্ণের পটহে প্রতিঘাত করিলে স্পষ্ট স্পষ্ট করিয়া শব্দগুলি বুঝিতে পারা যায়, তদন্তিরিক্ত হইলেই গোলমাল হইয় পড়ে । পূৰ্ব্বে কথিত হইয়াছে যে, শবা প্রতিফলিত হইতে পারে, এবং তাহাতেই প্রতিধ্বনি উৎপন্ন হয়। শব্দের ন্যায় আলোও প্রতিফলিত হইতে পারে। স্বৰ্য্যের কিরণে একখানি দর্পণ ধরিয়া ইচ্ছামত চারি দিকেই তুমি আলোক প্রতিফলিত করিতে পার। এ ভিন্ন আলোকের আর একটা গুণ আছে, ইহার সোজা গতি ফিরিয়া অন্য দিকে বক্র হইতে পারে। সম্মুখে এক