পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৭১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| f কল্পদ্রুম سوا ۹۰ গৌড় বলিলে চিরকাল আমাদের এই গোঁড়ই বুঝাইয় থাকে। স্কানো পঞ্চ গৌড়ের ব্রাহ্মণদিগের স্থান বিন্ধ্যাচলের উত্তরাংশে নির্দিষ্ট হইয়াছে— সারস্বতাঃ কানাকুজা গৌড়মৈথিলিকোংকলাঃ । পঞ্চ গোঁড়া ইতি খ্যাত বিন্ধস্যোত্তরবাসিনঃ। বিন্ধ্যগিরির উত্তরবাসী সারস্বত কান্যকুব্জ গৌড় মৈথিলিক এবং ঔৎ কল পঞ্চ গৌড় বলিয়া বিখ্যাত । এখন পাঠক জিজ্ঞাসা করিবেন, আমাদের এ গৌড় কি বিন্ধ্যগিরির উত্তরাংশে অবস্থিত ? হুঁ, সে কথা সত্য। বিন্ধ্যাচল রাজপুতানা হইতে আপনার বিশাল কলেবর বিস্তার করিতে করিতে আমাদের গৌড় দেশের দক্ষিণ ভাগ দিয়া উৎকল পর্য্যন্ত চলিয়। গিয়াছে। ইহাতেও যদি গৌড় দেশের অবস্থান সম্বন্ধে কোন সন্দেহ হয়, পঞ্চ গোড়োক্ত মিথিলা শব্দ সে সন্দেহ নিরাকরণ করিতেছে। মিথিলা দেশ একট ভিন্ন দুটা নাই । মিথিলা যদি বিন্ধ্যগিরির উত্তরে অবস্থিত হয়, তবে গৌড় দেশও হইতে পারে। শক্তি-সঙ্গমতন্ত্রে গৌড় দেশের স্পষ্ট সীমা নির্দেশ করা হইয়াছে— বঙ্গদেশং সমারভ্য ভুবনেশাস্তগঃ শিবে । (১) গৌড় দেশঃ সমাখ্যাতঃ সৰ্ব্ববিদ্যাবিশারদঃ ॥ হে শিবে! বঙ্গদেশ হইতে আরম্ভ হইয়া ভুবনেশ্বর পর্য্যন্ত ইহার অন্ত্যসীমা । এই স্থান গোড় দেশ নামে বিখ্যাত। ইহা সৰ্ব্ব বিদ্যায় বিশারদ । অতএব, আমাদের এই দেশ যে প্রসিদ্ধ গৌড়, তদ্বিষয়ে আর সন্দেহ মাত্র রহিল না । শ্ৰীহৰ্ষ এই দেশেরই রাজার কুল প্রশস্তি রচনা করিয়াছিলেন। সুতরাং নৈষধকার শ্ৰীহৰ্ষ আদিশূরের সভায় আসিয়াছিলেন, তাহাও নিশ্চিত হইল। নৈষধে শ্ৰীহৰ্ষলিখিত আর আর অনেকগুলি কাব্যের নাম পাওয়া যায়। নৈষপেই “ গৌড়োবাঁশ কুলপ্রশস্তি • কাব্যের নামোল্লেখ রহিয়াছে। ইহাতে অনুমান হয়, তিনি অন্যান্য কাব্য রচনা করিয়া এবং গৌড় দেশে আসিয়া কিছু কাল পরে নৈষধ প্রণয়ন করেন। কিন্তু এ অনুমানে একটা দোষ ঘটতেছে। শ্ৰীহৰ্ষ যখন এ দেশে আসেন, তৎকালে তিনি নিতান্ত বৃদ্ধ। அம்மக (১) গৌড় শব্দের প্রকৃত বুৎপত্তি কি ? তাহা আমরা অনেক সন্ধানেও বিশুদ্ধ প্রকারে স্থির করিতে পারিলাম না । অনুমানবলে এই পৰ্য্যন্ত বলা যায় যে, এদেশের ব্রাহ্মণের তন্ত্রোক্ত উপাসনার নিমিত্ত গুড়োস্তব মদ্য প্রস্তুত করিতেন, তজ্জন্য এদেশকে গৌড় কহে ।