পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৭২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐহর্ষ। ৭১৩ প্রাঙ্গণে বিশ্রাম করিতেন। কেহ শাস্ত্রালাপ করিতেছেন, কেহ শ্ৰীমদ্ভাগবত পড়িতেছেন, কেহ বেদাধ্যয়ন করিতেছেন, এইরূপ সকলেই আমোদ আহলাদে থাকিতেন। তথাকার সমস্ত ব্যয় শ্রদ্ধাবান দানশীল'কনোজরাজের রাজসংসার হইতেই প্রদত্ত হইত। মুসলমান পাদসাহের শাসনাধীনূেত্র সমাধিমন্দিরের অবস্থা এককালে মন্দ হইয়া পড়ে । দেবালয়গুলি ভগ্নপ্রায় হইয়া পড়িল । সংস্কারের ব্যয় ও আর নিয়মিতরূপে মিলিত না, অতিথিদিগেরও আর যথোচিত সংকার হইত না । ক্রমে অট্টালিকা ও প্রাচীর ভূমিসাৎ হইল। যাহা হউক, তথাপি সেই সমাধির অনেক ভগ্নাবশেষ ছিল। পরে প্রায় শত বৎসর অতীত হইল, গঙ্গার প্রবল বন্যায় সে স্থান এককালে ধৌত করিয়া লইয়া গিয়াছে। আর সে সমাধিভূমির চিত্বও নাই। এই কিংবদন্তী সত্য কি প্রবাদমাত্র, তাহা সপ্রমাণ করিবার কোন. উপায় নাই। গল্পটার অন্যান্য অংশে কিছু অপ্রামাণিক ঘটনার উল্লেখ নাই বটে, কিন্তু মৃত দেহ গঙ্গার স্রোতোজলে উজান ভাসিয়া আসিল, তাহ আমরা বিশ্বাস করিতে পারি না। বোধ হয়, শ্ৰীহৰ্ষ জীবনের শেষ দশায় কাশীবাসী হইয়াছিলেন। কনোজাধিপতি তাহা জানিতেন, এবং তাহার নিযুক্ত কৰ্ম্মচারীরা ও শ্রীহর্ষের বৃদ্ধাবস্থায় সেবা শুশ্রীষায় রত ছিলেন, তাহাও কিছু অসম্ভব নহে। অনন্তর শ্রীহর্ষের মৃত্যু ঘটিলে র্তাহার শব অমুচরের নৌকাযোগে কনৌজের সন্নিকটে লইয়া গিয়া রাজাজ্ঞায় সমহিত করিয়া থাকিবেন । এ ভিন্ন এই গল্প হইতে অন্য কোন সত্য তত্ত্ব উদ্ধার করিবার উপায় দেখি না । শ্ৰীহৰ্ষ অতি পবিত্র চরিত্রের লোক ছিলেন । পাপকলঙ্ক কখন তাহার হৃদয়ে স্থান পায় নাই । তিনি ঘোর তার্কিক ছিলেন, কিন্তু তর্কের সময় কথন ঔদ্ধত্যপরবশ হইয়া প্ৰলাপ বাক্য কহিতেন না। তিনি যে সভায় উপস্থিত থাকিতেন, সভাস্থ সকলেই তাহাকে গুরুর তুল্য জ্ঞান করিতেন। পাণ্ডিত্যপক্ষে তাহার শাস্ত্রজ্ঞান অসাধারণ ছিল, কিন্তু তাদৃশ কবিত্বশক্তি ছিল না। র্তাহার যতটুকু কবিত্বশক্তি ছিল, তত্ত্বও অসামান্য পাণ্ডিত্যে গ্রাস করিয়া ফেলিয়াছিল। প্রবন্ধগুলির কথায় কথায় অনুপ্রাস এবং কথায় কথায় শব্দচাতুর দেখাইতে গিয়া ভাব নিতান্ত জটিল করিয়া ফেলিয়াছেন। স্বতরাং কবিতাগুলির সহজে অর্থগ্রহ হওয়া দুর্ঘট। আবার অনেক স্তানের ভাব ন্যায় ও কূটতর্কে পরিপূর্ণ। ফলতঃ নৈষধ পাঠ করিয়া কবির যতদূর ( So Y