পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৭৫৬

*8や & কল্পদ্রুম | f *, তুল নাই,—এত বর্ণ এত শঙ্ক এত ব্যাকরণ স্বত্র আর কোন ভাষায় দৃষ্ট হয় না। এমন সৰ্ব্বরত্বের আকয় মুগভীর শাস্ত্রে যদি কালি কলম কাগজের নাম না থাকে, তবে কে না সিদ্ধান্ত করিবেন, যে আর্য্যেরা লিখিতে জানি তেন না ? মেক্ষমূলর সর্বশাস্ত্ৰদশী ; তিনি সংস্কৃত বিদ্যার মৰ্ম্মাবধান করিতে পারেন নাই, এমন নির্দেশ করা নিতান্ত অবিবেচনার কৰ্ম্ম । তবে তাহার মত খং ন করিবার নিমিত্ত যদি দুই চারিট কথা বলিতে হয়, তাহা দোষীভ্রাত হইবে না । মোক্ষমূলর অনেক পড়িয়াছেন, অনেক দেখিয়াছেন ; কিন্তু পক্ষপাতশূন্য হইয়া বিচার করিতে শিখেন নাই। পাণিনির সকল স্বত্র তিনি সবিশেষ জ্ঞাত অাছেন। তিনি কাত্যায়ন বাৰ্ত্তিক, পতঞ্জলির মহাভাষ্য ও কৈয়ট প্রণীত তীক, পরিভাষেন্দুশেখর, মনোরমা, শব্দেন্দু শখর, তত্ত্ববোধিনী প্রভৃতি পাণিনীয় সংক্রান্ত যাবতীয় পুস্তক অধ্যয়ন করিয়াছেন ; অতএব তিনি যে এক জন বিশিষ্ট পাণিনীয়জ্ঞ তাহাতে আর সন্দেহ নাই। পাণিনির সময়ে লিপি-প্রণালী ভারতবর্ষে প্রচলিত ছিল কি না তৎপ্রমাণ অষ্টাধ্যায়ীর স্থত্রেই বিদ্যমান আছে ; এক স্থলে নয়,পাণিনি সঙ্কলিত প্রসিদ্ধ ব্যাকরণের অনেকগুলি স্থত্রেই তাহার প্রমাণ পাওয়া যায় । আমরা পশ্চাৎ সেই সমস্ত স্বত্র উদ্ধৃত করিয়া পাঠকগণের কৌতুহল পরিতৃপ্ত করিব । সম্প্রতি প্রতিপাদিত হইতেছে যে, প্রাচীন ঋষিগণ লিপি-কৌশল জ্ঞাত ছিলেন না, এ মত নিতান্ত অমূলক ও অসঙ্গত নহে। “ বেদ ” ও “ শ্রুতি ” এই উভয়বিধ নামেই প্রতিপন্ন হয় যে ঋষি পরম্পরা গুরুর নিকট বেদমন্ত্রের উপদেশ পাইয়া তাহা অভ্যাস করিয়া আসিতেছিলেন । লিখিত পুস্তক হইতে র্ত{হার কখন বেদাধ্যয়ন করেন নাই। বিদ ধাতুর অর্থ জ্ঞান। এতদ্বারা বেদ শব্দের দুই প্রকার ব্যুৎপত্তি সিদ্ধি হয়। প্রথমতঃ, পূৰ্ব্ব আচাৰ্য্যগণ এই ব্যাখ্যা করিয়াছেন,—“বেদ প্রণিহিতো ধৰ্ম্মোহাধৰ্ম্মস্তদ্বিপর্যয়ঃ ।” বেদবিহিত বিষয় গুলিই ধৰ্ম্ম, এবং তদ্বিপরীত যাচা কিছু তাহাই অধৰ্ম্ম । অর্থাৎ যদ্বারা সনাতন ধৰ্ম্মজ্ঞান জন্মে তাহাই বেদশব্দবাচ্য। অপরঞ্চ, “প্রত্যক্ষেণামুমিত্য বা যস্তৃপায়ে ন বুধ্যতে । এতৎ বিদন্তি বেদেন তস্মাং বেদস্য ৰেদতা।” প্রত্যক্ষ কিম্বা অনুমান বলে যে উপায় বোধগম্য হয় না, বেদের দ্বারা জাহা জ্ঞাত হওয়া যায়, তন্নিমিত্ত বেদের বেদত্ব সার্থক হইয়াছে। পূৰ্ব্ব চাৰ্য্যগণ ধৃত এই সমস্ত ব্যাখ্যা দ্বারা বেদমন্ত্র লিপিবদ্ধ ছিল কি না,