পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৭৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१४२ কল্পদ্রুম। যৎকালে श्य আকলিত হয়, তখন কেবল ব্রাহ্মণের লিপিকৰ্ম্ম শিখিয়াছিলেন, তাহ নয়। ভারতবর্ষের সিন্ধুকূল দুরবর্তী যবনাদি অন্যান্য জাতিরাও লিখিত্বে জানিতেন। পাণিনি তাহাদেরও বর্ণমালা বিদিত ছিলেন । তদীয় স্বত্রবিশেষে দৃষ্ট হয়,— “ ইন্দ্র বরুণভবশর্বরুদ্রমুড়হিমারণ্য্যৰযবনমাতুলাচাৰ্য্যাণামানুক 8s | > 8 פת.4 רי ইন্দ্রাদিশব্দের উত্তর স্ত্রীলিঙ্গে জীষ"প্রত্যয় হইবে এবং আমুক আগম হইবে। যথা, ইন্দ্রাণী, যবনানী। । যবনানী শব্দে যবনদিগের লিপি। এস্থলে কাভ্যায়নকৃত বাৰ্ত্তিকে ইহার পরিষ্কার ব্যাখ্যা লিখিত আছে—যথা, “ যবনাল্লিপ্যাম,”। যবনানী লিপিঃ । আবার দেখুন যেখানে লোপের পরিভাষা করিতেছেন, সে স্থলে পাণিনি লিখিলেন,-- আদর্শনং লোপঃ । ১ । ১ । ৬০ অর্থাৎ যে বর্ণট আর দৃষ্টিগোচর হইবে না, তাহাকেই লোপ বলা যায়। যদ্যপি বর্ণাদি লিপিবদ্ধ না ছিল, কিরূপে তবে “ আদর্শন ” শব্দ প্রয়োগ করা সঙ্গত হইতে পারে ? দ্রষ্টব্য পদার্থেরই দর্শন কাৰ্য্য সম্পন্ন হয় । পরে তাহা আর দৃষ্টিগোচর না হইলেই আদর্শন বলা যায়। কুপৃে × ক = পেী চ । ৮। ৩ ॥৩৭। এই ব্ৰজগজকুম্ভাকৃতি চিহ্লের স্বষ্টি কোন সময় হইতে হইয়াছে ? পাণিনির ব্যাকরণে ইহা দৃষ্ট হয় এবং বৈদিক প্রয়োগেই ইহার উচ্চারণ বিশেষ রূপে মানিত হইয়া থাকে। অতএব অবশ্যই স্বীকার করিতে হইবে বহুকাল হইতে ঐ চিকু প্রচলিত হইয়া আসিতেছে । বেদের স্বরিত ও অনুদাপ্তাদি চিচুও অনেক প্রাচীন কাল হইতে ব্যবহৃত হইতেছে । কিন্তু বৈদিক ঋষিগণ ঐ সমস্ত চিহ্ল ব্যবহার করিয়াছিলেন কি না তাহ জানিবার উপায় नाझे । o এস্থলে পাঠক মহাশয়দিগকে আমরা আর একটা স্বত্র উপহার দিতেছি, পাঠ করিয়া বিস্ময়াপন্ন হইবেন। কর্ণে লক্ষণসঙ্গবিষ্টপঞ্চমণিভিন্নছিন্নছিদ্রক্ষরস্বস্তিকস্য। ৬। ৩। ১১৫ । এই স্থত্রে পাণিনি তৎকালীন একটী ব্যবহারের উল্লেখ করিতেছেন, গবাদি পশুগণ গোষ্ঠে চরিতে যাইত, কিন্তু কোন পশুট কাহার ইহা চিনি