পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৭৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግ¢8 কল্পক্রম । " ছিল, বেদ ভিন্ন তাহাদের অন্যান্য অনেক শাস্ত্র ছিল । শত শত উদ্যমের পর তবে গুহার রসনালে সরস্বতী আবির্ভূত হইবা তারত্তুম্বর যোগে বেড়োদী সঙ্গীত আর চরাচর জাগাইয়াছিলেন। যিনি ভাষার আলুেচনা করেন, কাব্য সাহিত্য পাঠ করেন, কিরূপে এক সোপানের পর অন্য সোপানে ভাষা মার্জিত ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হইয়া উন্নীত হইতে থাকে, তাহার নিগুঢ় মৰ্ম্ম যিনি বুঝেন, অবশ্যই তিনি মুক্ত কণ্ঠে স্বীকার করবেন ঋগ্বেদের পূৰ্ব্বেও ঋষিদিগের গ্রথিত অন্যান্য পুস্তক বিদ্যমান ছিল। তাহার কি সেই সমস্তই কণ্ঠস্থ করিয়া রাখিতেন ? ইহা কখনই বিশ্বাস্য নহে । দৈত্যাদি অনার্য জাতি র্তাহাদের সেই সমস্ত পুস্তক বিনষ্ট করিয়াছে। সে সকল গ্রন্থ পত্রাদিতে লিখিত থাকিত, পেঁই নিমিত্ত ঋগ্বেদের পূর্ববর্তী সুন্থগুলি ভুল ভ—সমস্তই লয় প্রাপ্ত হইয়াছে। অনাৰ্য্য জাতির তৎসমুদায় নষ্ট করিয়া দিয়াছে। আমরা নিঃসন্দিগ্ধচিত্তে বলিতে পারি, আর্য্যের সেই ভয়ে ভীত হইয় তাহাদের জীবনাবলম্ব ধৰ্ম্মপুস্তক বহু আয়াসে কণ্ঠস্থ করিম রক্ষা করিতেন । ফলতঃ, বেদ কখন লিপিবদ্ধ হয় নাই, অথবা বৈদিক ঋষিরা লিখিতে জানিতেন না, এ কথা কখন বিশ্বাস্য নহে । প্রাচীন কালে ভারতবর্ষে লিপি-প্রণালী অপ্রচলিত ছিল, যথার্থষ্ট যদি এ অনুমান সত্য হয়,—এট আর্য্যদিগের গৌরব বটে। এই অনন্ত অসীম সংস্কৃত শাস্ত্র তাহাদের তুণ্ডাগ্রে ছিল, এ সামান্য মেধার কৰ্ম্ম নহে। আমরা এক মুখে তাহাদের ধীশক্তির প্রশংসা করিয়া শেষ করিতে পারি না । কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষদিগের গৌরব বাড়িতেছে বলিয়া সত্য কথার অপলাপ করা উচিত নহে । বৈদিক ঋষিগণ যে লিপিতে জানিতেন, তাহাতে সন্দেহ নাই । যাজ্ঞবল্ক্য লিখিতেছেন – স হ্যাশ্রমৈৰ্ব্বিজিজ্ঞাস্যঃ সমস্তৈরেবমেব তু। দ্রষ্টব্যস্বথ মন্তব্যঃ শ্রোতব্যশ্চ দ্বিজাতিভিঃ ॥ ৩ । ১৯১ ॥ আশ্রমবাসী দ্বিজাতিগণ বৈদিকতত্ত্ব-জিজ্ঞাসু হইয়া উহা দর্শন করবেন, মনন করিবেন এবং শ্রবণ করিবেন। দ্রষ্টব্য বিষয় না হইলে দৃষ্টিগোচর হয় না। বেদ লিপিবদ্ধ না থাকিলে তাহা কি প্রকারে সৃষ্টিগোচর হওয়া সম্ভাবতে পারে । এ স্থলে অধ্যয়ন কালের, উপযোগী স্তিনটা কথাই উল্লিখিত হইয়াছে। বেদ দর্শন করিবে, মনন করিবে এবং প্রবণ করবে। একখানি পুস্তক সন্মুখে রাখিয়া পাঠ করিতে হইলে যে