পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুদিগের বহির্বাণিজ্য । 9余 পশুনাং রক্ষণং দানমিজ্যাধ্যয়নমেবচ। বণিক, পথং কুসীদঞ্চ বৈশ্যস্য কৃষিমেবচ ॥ একমেব তু শূদ্ৰস্য প্ৰভুঃকৰ্ম্ম সমাদিশত । এতেষামেব বর্ণনাং শুশ্রুষামনস্বয়য় ॥ মমু ১ । ৮৮ ৷ ৮৯ ৷ ৯০ ৷ ৯১ ৷ অধ্যাপন, অধ্যয়ন, যজন, যাজন, দান ও প্রতিগ্রহ এই ছয়ট ব্রাহ্মণের । প্রজারগণ, দান, যজ্ঞ, অধ্যয়ন ও স্ৰক চন্দনবনিতাদিতে অনাসক্তি এই পাঁচটি ক্ষত্রিয়ের। পশুরক্ষণ, দান, যজ্ঞ, অধ্যয়ন, স্থলজলাদিতে বাণিজ্য, সুদ গ্রহণ ও কৃষিকাৰ্য্য এই সাতটা বৈশ্যের এবং শূদ্রের কেবলমাত্র ব্রাহ্মণাদি শ্রেষ্ঠ বর্ণত্রয়ের পরিচর্য্যাই কৰ্ত্তব্যকৰ্ম্ম বলিয়া বিধিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন । মন্থর এই বচন দ্বারা স্পষ্টই প্রতীয়মান হইতেছে, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় কিম্বা শূদ্রেরা বাণিজ্যকাৰ্য্য করিতেন না ; বৈশ্যেরাই কেবল বাণিজ্যকার্য্যে নিরত ছিলেন। আধুনিক সমাজতত্ত্বজ্ঞ অনেক কৃতবিদ্য ব্যক্তি মনুর এই ব্যবস্থাকে বর্তমান সময়ে আমাদের উন্নতিপথরোধক একটী প্রবল কারণ বলিয়া উল্লেখ করিয়া থাকেন ও যাহাতে শীঘ্র সমাজ হইতে এই নিয়ম বিদূরিত হইয়া যায়, তৎপক্ষেও বিশেষ যত্নবান আছেন। র্তাহারা যত যত্ন করুন আর নাই করুন, আপনা আপনিই ইহা প্রায় অন্তহিত হইয়া গেল। বৰ্ত্তমান . সময়ে কারণ-পরম্পরায় জড়িত হইয়া মমুর এই s নিয়মটা আমাদের উন্নতিপথরোধক বলিয়া পরিগণিত হইতে পারে সত্য ; কিন্তু যৎকালে এই নিয়ম বিধিবদ্ধ হয়, যখন ভারতবাদী আৰ্য সস্তানগণ বর্ণবিভাগায়সারে স্বাধীনভাবে বিভিন্ন বিভিন্ন কাৰ্য্য বা ব্যবসায় দ্বার স্ব স্ব জীবিকানির্বাহ করিতেন, তখন এই নিয়ম যে অতি উৎকৃষ্ট ছিল, তাহাতে অণুমাত্র সন্দেহ নাই। ব্রাহ্মণ যজন যাজনাদি দ্বারা, ক্ষত্রিয় দান ও প্রজা রক্ষা ও বৈশ্যগণ স্থল ও জলপথে বাণিজ্য দ্বারা যে অতি কষ্টে স্বষ্টে কাল যাপন করিতেন, বা দরিদ্রতানিবন্ধন তৎসময়ে আৰ্য্যসমাজ যে অত্যন্ত শোচনীয় অবস্থায় পতিত হইয়াছিল, এ কথা সাহস করিয়া বোধ হয় কেহই বলিতে সমর্থ নন। বৈশ্য বাণিজ্যাদি দ্বারা দেশের ধন বৃদ্ধি ও ক্ষত্রিয় বাহুবল দ্বারা তৎসমুদায় রক্ষা করিতেন। ব্রাহ্মণ সন্থপদেশ দ্বারা কিরূপে প্রজা রক্ষা, দেশের ধন সংকার্য্যে ব্যয়িত হুইবে, বলিয়া দিতেন, কাজে কাজেই সমাজ মুশৃঙ্খলাবদ্ধ হইয়া দিন দিন উন্নতির মুখাবলোকন করিতে সমর্থ