পাতা:কল্লুর জগৎ ১ - ঘোর প্যাঁচ আর গণ্ডগোল.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

মাথায় চড়লো, “কী ব্যাপার? আজ সুয্যি পশ্চিমে উঠলো নাকি? সকাল সকাল কোথায় চললে হে?”

“স্কূঊঊঊঊঊঊউল!”

“আরে একটা তেলেভাজা খেয়ে যা আগে!” আর উনি হাঁসলেন। “ধরমের গরম গরম তেলেভাজা!”

তাড়াহুড়ো করে হেঁটে যেতে যেতে কল্লুর আর উত্তর দেওয়ার সময় ছিলো না। ধরমপাল কাকার সব কিছুতেই ঠাট্টা, নিজের মনে গজগজ করে বললো কল্লু। এই কত বিপদে পড়েছে সে আর উনি নাকি বোকা বোকা তেলেভাজা নিয়ে কথা বলছেন! আর কল্লুর স্কুলে দেরী হওয়াতে এমন কী মজার ব্যাপার শুনি? প্রতি সপ্তাহেই তো হয়ে থাকে এমন!

অবশ্য সবচেয়ে সর্বনাশ হয়েছিলো পরশুদিন যখন ও দেরী করে পৌঁছেছিলো। ২৬শে জানুয়ারির অনুষ্ঠানের জন্য রিহার্সাল চলছে আর ও যখন গুটিপায়ে স্কুলের মাঠে ঢুকেছে তখন রাষ্ট্রগানের শেষে ‘জয় হে’ গাওয়া হচ্ছে। আর কল্লুর ত’ সামনে দামু, মুনিয়া আর সারুর সাথে দাঁড়িয়ে গাইবার কথা।

তাই ও পিছনে দাঁড়িয়ে “জয় হে” গেয়ে আবার ফসকে পরার ধান্দায় ছিলো, এমন সময় কেউ ওর ঘাড় ধরে ফেরত টেনে আনলো। মাস্টারমশাইয়ের গম্ভীর চেহারার দিকে চোখ তুলতেই যেন কল্লুর বুকে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলো প্রায়।

“তুমি আবার রিহার্সালে দেরী করে পৌঁছেছো, তাই তোমায় আর অনুষ্ঠানে রাখা হবে না।” মাস্টারমশাইয়ের গলার স্বর যেন বরফে ঘোলা।

১০