পাতা:কল্লুর জগৎ ১ - ঘোর প্যাঁচ আর গণ্ডগোল.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

এই আমার ভাগ্য, ও বিতৃষ্ণায় ভাবলো, হাম্বা-ডাকা পশুগুলোর পাশ কাটিয়ে যেতে যেতে। জীবন-মরণের ব্যাপার আর আমি করি কী? বদ্রীদার মোটা মোষের ভেতর গোঁতা গুঁতি!! হাঁপাতে হাঁপাতে, কাদায় আলুথালু হয়ে, ও কোনমতে এগোতে থাকলো। পাগলা বদ্রী, মোষচালক, পাগড়িবাঁধা, বড়ো বড়ো গোঁফের তলায় মুচকি হাঁসা মুখে ওর দিকে তাকিয়ে লাঠি তুলে অভিনন্দন জানালো।

“তুমি আজ তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়েছো না কল্লু? আমায় এই মোষগুলোকে স্নান করাতে একটু সাহায্য করে দিয়ে যাও না স্কুলের পথে।”

“ইয়ার্কি নাকি?”

“না না, পাঁচ টাকা দেবো। সময় আছে এখনো। তুমি আজ তাড়াতাড়িই বেরিয়ে পড়েছো।”

“হাঁ, খূঊঊব তাড়াতাড়ি এসে গেছি,” কল্লু কটমটিয়ে বললো। “এত তাড়াতাড়ি যে এখনও আজ হয়ই নি, গতকালই চলছে। আর আমি তোমার মোষকে খাইয়েও দেবো আর ওদের সাথে নেচেও নেবো অনে!”

“হে! হে!” বদ্রী হাঁসতে হাঁসতে মোষটাকে এক চাপড় লাগালো। “বেশ মজার লোক তুমি কল্লন।”

কল্লু দৌড়তে থাকলো। সারা গ্রাম আমার বিরুদ্ধে, গোমড়া মুখে ভাবলো ও, এমন কী পাগলা বদ্রীও। আমার মতো বেচারা একটাকে না ক্ষেপিয়ে বা জ্বালাতন করে শান্তি নাই ওদের? আর তার পর ও আবার ওই অজুহাত বনাম গল্পের সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো মনে মনে।

১৩