তাড়াতাড়ি চোখে মুখে ঠাণ্ডা জল ছিটালো, চোখের থেকে ঘুম তাড়াবে বলে –অবশ্যই স্নানের প্রশ্নই ওঠে না! কী ভাগ্যিস শীতকাল– না হলে মা স্নান করিয়েই ছাড়তেন। একটা শার্ট, প্যাণ্ট আর সোয়েটার তুলে এদিক-ওদিক লাফিয়ে সেগুলোকে পরা শুরু করলো। চটিতে পা ঢুকাতে-ঢুকাতে ছোট ভাইয়ের দিকে চেয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বললো, “তোর কী ভাগ্য রে শব্বো! এক মাসের জন্য কোনো স্কুল নাই।”
ডান পায়ে প্লাস্টার লাগানো শব্বো জালনার ধারে বসে গোমড়া মুখে বললো, “হ্যাঁ রে! পা ভাঙ্গা যে কী মজার ব্যাপার। আমার সারা দিন এইখানে বসে থাকতে কী ভালই না লাগে, এত বোর হয়ে যাই যে মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করে, আর তুই চলে যাস দামুর সাথে ফুটবল খেলতে। বটে, আমার কী মজাই না হচ্ছে!”
ওর কথা শেষ হওয়ার আগেই কল্লু বাড়ি থেকে বেরিয়ে মাঝপথে পৌঁছে গিয়েছিলো। শব্বো জালনা দিয়ে ঝুঁকে ওকে হনহনিয়ে কুয়াশার ভেতর হারিয়ে যেতে দেখলো। ওর চেহারায় আনন্দের হাঁসি ফুটে উঠলো।
“দাদা চলে গেছে!” শব্বো গেয়েই যেন বললো। “তুই বেরিয়ে আসতে পারিস মুনিয়া!”
ওর ছোটো বোন মুনিয়া যে আলমাড়ির পিছনে লুকিয়ে ছিলো, তার চাইতেও বড়ো হাঁসি মুখে নিয়ে বেরিয়ে এলো। দুইজনে এমন হাঁসতে লাগলো যে মুনিয়ার হিচকি ধরে গেলো।
বাইরে যেতে যেতে রান্নাঘর থেকে একটা শুকনো রুটি হাতে তুলে নিয়েছিলো কল্লু, এখন সেটা চিবোতে চিবোতে নিজের