পাতা:কাঙ্গালের ঠাকুর - জলধর সেন.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঙ্গালের ঠাকুর Ng oa যে কি করে উঠল, তা তোকে কি করে বুঝাব বাবা! সে অবস্থা যেন অতি বড় শত্তরেরও কখন না হয়। তখন আমি সব ভুলে গেলাম-তোর মুখখানি ও ভুলে গেলাম-ঘর ংসারের কথা তখন আমার মনে এল না । আমার মনে এল বাবা জগন্নাথের কথা -আমি তখন মনে-মনে তাকেই ভা কতে লাগালাম--তারই পায়ে মন ঢেলে দিলাম। ক্রমে ক্ৰমে আমার যেন কি হোল ; আমার চক্ষের সুমুখে সব আধার হয়ে আসতে লাগিল ; কিন্তু মনের মধ্যে-ওরে আমার বুকের মধ্যে --তখন দেখতে পেলাম ঠাকুরের সেই মুখখানি । তারপর কি হোলো ত! জানিনে । যখন আমার একটু জ্ঞান হোল-সে কতক্ষণ পরে তা কি করে বলব- যখন একটু জ্ঞান হোল, তখন যেন মনে হোলো, কে আমার গায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। সে যে কি, তা তোকে বলতে পারছিনে ! আমার শরীরে যেন সেই হাত লেগে সব শীতল করে দিচ্ছিল । চোখ আর চাইতে পারিনে,- চোখের উপর কে যেন দশ মণ পাথর চাপা। দিয়েছে ব’লে মনে হোল । অনেক চেষ্টা করে একবার চাইলাম। কি দেখলাম শুনিবি বাপ আমার ! মুখে যে সে কথা আসে না,-কেমন করে সে কথা তোকে বলব । আনি চেয়ে দেখলাম ঠাকুর—সত্যিই ঠাকুর রে-সত্যিই জগন্নাথদেবের মুখ দেখলাম। তিনিই আমার পাশে ব’সে রয়েছেন—ৰ্তারই সেই চাদমুখ আমি দেখতে পেলাম। -- একবার-শুধু একবার দেখা ;-তারপরই আবার চোখ