পাতা:কাঙ্গালের ঠাকুর - জলধর সেন.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঙ্গালের ঠাকুর Գ Կ» বিপন্ন করিবার জন্য নানা ফন্দী আঁটিয়া আসিতেছিল ; কিন্তু মুরুকৰীদিগের ভয়ে তাহারা এতদিন কিছুই কাৰ্য্যে পরিণত করিতে পারে নাই। পূজার সময় কৰ্ত্তাদের অগোচরে, অতি গোপনে তাহারা এক কাজ করিয়া বসিল । ( R ) ষষ্ঠীর দিন অতি প্ৰত্যাষে অন্যান্য দিনের মত নেত্য যখন বাহিরের বৈঠকখানা-ঘর ঝাঁট দিতে আসিল, তখন সে সবিস্ময়ে দেখিল, বৈঠকখানার বারান্দায় একখানি অনতিবৃহৎ দুর্গাপ্ৰতিমা রহিয়াছে। এই অভূতপূৰ্ব্ব ব্যাপার দেখিয়া সে একেবারে স্তম্ভিত হইয়া গেল ; কি করিবে, কি বলিবে, কিছুই স্থির করিতে পারিল না। একটু প্ৰকৃতিস্থ হইয়াই সে সেখান হইতে চীৎকার করিয়া বলিল, “ও দাদা, শীগগির এস, দেখে যাও, কে আমাদের সর্বনাশ করেছে গো ।” ঠাণ্ডা মল্লিকের তখন সবে নিদ্রাভঙ্গ হইয়াছে; উঠি । উঠি করিয়াও এ-পাশ ও-পাশ করিতেছিলেন, এমন সময ভগিনীর চীৎকার শুনিয়া তিনি তাড়াতাড়ি শয্যা ত্যাগ করিয়া বাহিরের দিকে দৌড়াইয়া আসিলেন। দাদাকে দেখিয়াই নেত্য বলিয়া উঠিল, “এই দেখ, পোড়াকপালীর বেটারা আমাদের বারান্দায় মা-দুর্গার প্রতিমা রেখে ffCT *