পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মণের সন্তানগণ গুণ ও কৰ্ম্মানুসারে যে প্রকারে বিভক্ত হইয়াছেন, অন্য স্থানে তাহ বিশেষরূপে বৰ্ণিত হইয়াছে।” “অজাতি ব্ৰহ্ম হইতে মনুষ্য উৎপন্ন হইয়া কিরূপে নানা জাতিতে বিভক্ত হইল, এস্থলে তৎসম্বন্ধে দুই একটি তত্ত্বকথা তোমাকে বলিতেছি। হিংস্ৰজন্তু সমন্বিত নিবিড়ারণ্যে সুগন্ধ পুষ্প প্রস্ফুটিত হইলে বন উপবনের বিচার না করিয়া ব্ৰাহ্মণগণ তাহা সাদরে গ্রহণ করিতেন, পুরাণে ইহার দৃষ্টান্ত বিরল নহে। রাজা বেণ যদি অরণ্যের রজঃ ও তমোময় পুষ্পগুলি পরিত্যাগপূর্বক সত্ত্বময় পুষ্পবৃক্ষ উপবনে রোপণ করিতে যত্নবান হইতেন, তাহা হইলে বিপন্ন হইতেন না। কারণ, তাহা ঐশ্বরিক নিয়মের বিরুদ্ধ নহে। বৃক্ষের ন্যায় মনুষ্যও প্রথমতঃ অরণ্যবাদী, আমমাংস ও অযত্নসম্ভত উদ্ভিজাশী দিগম্বর ছিল। ক্রমান্বয়ে সত্ত্বগুণান্বিত হইয়া পরিশেষে জনপদবাসী ও পকান্ন ও কৃষিজাত ফলশাস্তাশী সাম্বর হইয়াছে। আরণ্য কুসুমের সুগন্ধে যেমন উপবন সুবাসিত হইয়া গৌরবান্বিত, সেইরূপ সত্ত্বগুণের নিমিত্তই জনপদের এতাদৃশ গৌরব। যেমন উদ্যানমালীর অযত্ন, অমনোযোগ ও আলস্যাদি নানা দোষে পুষ্পোন্তানে কণ্টক বৃক্ষ ও বিষলতা প্রভৃতি উৎপন্ন হইয়া থাকে, সেইরূপ জনপদমালী ধৰ্ম্মাধ্যক্ষদিগের দােষে জনপদে রজঃ ও তমোগুণের প্রাধান্য হইয়া জনসমাজকে কলঙ্কিত ও পীড়িত করে। সুগন্ধ ও সুস্বাদ আরণ্যপুস্প এবং ফলকর বৃক্ষে যেমন উদ্যানের গৌরব ভিন্ন আগৌরাবের কারণ হয় না, সেইরূপ যে কোন মনুষ্যে সম্বদ্ধিত সত্ত্বগুণে জনসমাজের উন্নতি ব্যতীত অপকার সাধন করে না। কিন্তু উদ্যানজাত কণ্টকাদিযুক্ত বৃক্ষলতা যেমন উদ্যানের অগৌরব ও বিনাশের কারণ, সেইরূপ জনসমাজে রজঃ ও তমোগুণের প্রাধান্যও তাহার কলঙ্ক ও অধোগতির নিদান।” “আমি এতক্ষণ যে সকল দৃষ্টান্ত প্ৰদৰ্শন করিলাম, যদি সরলভাবে তাহার তাৎপৰ্য্য গ্ৰহণ করিয়া থােক, তবে নিশ্চই বুঝিতে পারিয়াছ যে, কি מס.