পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনে কি উপবনে, যে স্থানে যে অবস্থায় সুগন্ধ পুষ্প ও সুস্বাদ ফলকর বুক্ষের উৎপত্তি হউক, তাহা সকলেরই আদরণীয় ও গ্ৰাহা ; এবং কি উদ্যানে, কি অরণ্যে, যে কোন স্থানে যে কোন অবস্থায় কণ্টক বৃক্ষ ও বিষলতা উৎপন্ন হউক, তাহাই অনাদরণীয়, অগ্ৰাহ ও ত্যজ্য। ইহাকেই ঐশ্বরিক নিয়মানুসারে শ্রেণী বা জাতিভেদ বলিয়া থাকে। এই অব্যৰ্থ নিয়মের । কোন প্রকার ব্যভিচার হইলেই উন্নতির মঙ্গলময় সোপানশ্রেণী পরিত্যাগ করিয়া অবনতির অকল্যাণকর সোপানে পতিত হইয়া ক্রমে অধঃপাতে গমন করিতে থাকে। এখন তুমি এই বিস্তৃত ভূমণ্ডলের সসাগর সপ্তদ্বীপন্তর্গত সমুদায় দেশের অবস্থা আলোচনা করিয়া দেখ ; যে প্রথা ঐশ্বরিক নিয়মের অনুগামিনী না হইয়া ব্যভিচারিণী হইয়াছে, তদ্বারা মনুষ্যসমাজ দূরে থাকুক, জীবমাত্রেই অবনতি লাভ করিয়াছে ও করিতেছে।” জাতিভেদ সম্বন্ধে কাঙ্গাল হরিনাথ আরও অনেক কথা বলিয়াছেন, কিন্তু প্ৰস্তাব বাহুল্য ভয়ে সে সকল কথার অবতারণা করা গেল না । র্তাহার ব্ৰহ্মাণ্ডবেদ হইতে যে কয়েকটি বাক্য উদ্ধৃত করিয়াছি, তাহা হইতেই জাতিভেদ সম্বন্ধে তাহার মত বুঝিতে পারা যাইবে। ö 之