পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইহারই নাম গুরুমন্ত্র। এখন অনেকে গুরুমন্ত্র বিশ্বাস করেন না, কারণ র্তাহারা দেখিতে পান মন্ত্রে চেতনাশক্তি নাই ! এ কথা অস্বীকার করা বায় না। সত্য সতাই এখন যাহারা গুরুপদবাচ্য র্তাহারা সিদ্ধমন্ত্র দিতে পারেন না। যিনি নিজে সিদ্ধমন্ত্র লাভ করিতে পারেন নাই,তিনি যে মন্ত্র শিষ্যকে প্ৰদান করিবেন, তাহাতে ত শক্তি থাকিবেই না। এখন তেমন সিদ্ধগুরু মিলে না, তাই মন্ত্রের শক্তি দেখিতে পাওয়া যায় না। উপাসনালব্ধ যে বাক্য বা মন্ত্র, তাহা কি শক্তিহীন হইতে পারে ? অনেকে ংশপরম্পরায় যে গুরুবংশের নিকট মন্ত্র গ্ৰহণ করিয়াছেন, তাহাই গ্ৰহণ করেন। কিন্তু তাহাতে শক্তি কৈ ? গুরুবংশের হয় ত কেহ কোন সময়ে উপাসনাবলে প্ৰাণের কথা বা মন্ত্র লাভ করিয়াছিলেন, তিনি সিদ্ধ হইয়াছিলেন। তাহার পর তঁহার উত্তরাধিকারী মহাশয়েরা সেই মন্ত্র লাভ করিলেন বটে, কিন্তু সে শক্তি লাভ করিলেন না ; মন্ত্র অচেতন হইয়া গেল। ভবিষ্যবংশীয় গুরুপুত্র পৌত্ৰগণ সেই অচেতন বা শক্তিহীন মন্ত্রই শিষ্যগণকে দান করিতে লাগিলেন ; সুতরাং সে মন্ত্ৰ কাৰ্য্যকারী হইল না । মন্ত্রের ফল লাভ করিতে না পারিয়া লোকের মন্ত্রের প্রতি এবং মন্ত্রদাতা গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা হ্রাস হইতে লাগিল ; অৰশেষে শিষ্য স্বেচ্ছাচারী বা নাস্তিক হইয়া উঠিল। উপাসনার কথা বলিতে বলিতে আমরা বোধ হয় সামান্য একটু দূরে আসিয়া পড়িয়াছি; এক্ষণে পুনরায় উপাসনার কথা বলিতেছি। যাহারা ভগবানকে অস্বীকার করেন এবং র্যাহারা তাহাকে স্বীকার করিয়াও উপাসনা অনাবশ্যক মনে করেন, তাহদের সম্বন্ধে কোন কথা এখানে বলিতেছি না। র্যাহারা প্ৰণালী অনুসারে উপাসনা করিয়া থাকেন, তাঁহাদের মধ্যে অনেকে বলিয়া থাকেন “কৈ, কিছুই ত পাই না, কিছুই ত বুঝি না।” এ কথার উত্তর এই যে, তাহারা উপাসনা করেন না, Ndiyo