পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মনিষ্ঠ বা জ্ঞাননিষ্ঠ হইলেও যোগী হইতে পারেন নাই |” গীতার অন্য একস্থলে লিখিত আছে “তং বিদ্যাদু:খসংযোগবিয়োগং যোগসঙ্গিতম্। স নিশ্চয়েন যোক্তব্যে যোগোহনির্বিগ্নচেতসা | “সেই দুঃখ মিশ্ৰিত বৈষয়িক সুখদ্বারা নিযুক্ত অবস্থা-বিশেষের নামই যোগ বলিয়া জানিবে। সেই যোগকে শাস্ত্ৰ ও আচাৰ্য্যের উপদেশ জনিত নিশ্চয় দ্বারা নিৰ্বেদ শুন্য চিত্তে অভ্যাস করা কীৰ্ত্তব্য।” পণ্ডিত কালীবর বেদান্তবাগীশ মহাশয় পাতঞ্জলদৰ্শন-বঙ্গানুবাদের অবতরণিকায় লিখিয়াছেন—“মন্ত্রযোগ, রাজযোগ, লয়যোগ, হঠযোগ, তত্ত্বদশী যোগীরা এই চারি প্রকার যোগপথ আবিষ্কার করিয়াছেন। এই চতুষ্পথা কার যোগের ভিন্ন ভিন্ন পথগুলি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন মহাযোগীর দ্বারা আবিস্কৃত হইয়াছিল। ফল কথা এই যে, প্ৰত্যেক যোগেই লয়ের সম্বন্ধ আছে। লয় ছাড়া যোগ হয় না। লয় কি ? কাহার লয় ? চিত্তের লয়। চিত্ত কোন এক অনিৰ্দেশ্য আকারে লয় প্ৰাপ্ত হইলেই তদশায় তাহাকে লয়যোগ বলা যায়।” 叫 হঠযোগের দ্বারা শরীর নিরুগ্ন ও সর্বপ্রকার ক্লেশসহিষ্ণু হইয়া থাকে। তন্নিমিত্তই অধ্যাত্ম-যোগিগণ অধ্যাত্ম-যোগানুষ্ঠানের পূৰ্ব্বে হঠযোগ অভ্যাস করিয়া থাকেন। কি আধিভৌতিক, কি আধিদৈবিক, কি আধ্যাত্মিক, মানবশরীর সর্বপ্রকার যোগ-সাধনেরই মহাযন্ত্র। সাধন করিবার সাৰ্ব্ব প্রকার উপায় বা কলাকৌশলীই এই যন্ত্রের সর্বস্থানে সন্নিবেশিত রহিয়াছে, সুতরাং যন্ত্ররূপ শরীর ভগ্ন ও তাহার স্বভাব বিকৃত না হইলে তদবলম্বনে শারীরিক ও মানসিক • সর্বপ্ৰকার সাধন করিয়াই কৃতাৰ্থতা লাভ করা যায়। শরীর ভগ্ন ও রুগ্ন হইলে কোন প্ৰকার যোগসাধন ܪ o ܠ