পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ । शेकिन फूकान्न ङेर्छ, श्रुताग्नि ऊँ, ঘোলা করে মানুষের মন ; ঈশ্বরের তত্ত্ব না পায়,-ঘুরে বেড়ায়, অন্ধকারে অন্ধ যেমন । ৪। ক্যাঙ্গাল কয় ছাপাতিলক, বাহিরের যোগ, মনের যোগ ইন্দ্ৰিয়-দমন ; যদি রে তা-না-হ’ল, সব বিফল, শ্ৰবণ মনন কীৰ্ত্তন । যোগের প্রধান কথাটাই কাঙ্গাল হরিনাথ বলিয়া দিয়াছেন। ব্ৰহ্মাণ্ডবেদের একস্থানে কাঙ্গাল বলিয়াছেন “ইন্দ্ৰিয়-সংযমই অধ্যাত্মযোগ সাধনের প্রথম সোপান। যাহার ইন্দ্ৰিয় বশীভূত হয় নাই, সে ব্যক্তি আত্মযোগ সাধন করা দূরে থাকুক, উক্ত যোগ কাহাকে বলে, তাহার অর্থ বুঝিতে না পারিয়া ইন্দ্ৰিয় নষ্ট করাই ইন্দ্ৰিয়-সংযমের অর্থতাৎপৰ্য্য বুঝিয়া ইন্দ্ৰিয় নষ্ট করিতে যত্ন করিয়া থাকে। লোকে যত্ন ও চেষ্টা করিলে ইন্দ্ৰিয়, সংযমকরিতে পারে, কিন্তু নষ্ট করিতে পারে না । কারণ, তাহা অবিনশ্বর পরমেশ্বরী শক্তিবিশেষ । ইহার বিনাশী-সাধন মনুষ্যের সাধ্যায়ত্ত নহে। যাহার দ্বারা এই শক্তির প্রকাশ হয়, সেই দ্বার শরীরের বাহাবয়ব, সুতরাং নশ্বর। লোকে কেবল তাহারই প্ৰকাশিক শক্তি নষ্ট করিয়া মনে করে, ইন্দ্ৰিয় নষ্ট করিয়াছি। ইন্দ্ৰিয়-সংযম যোগের প্রথমাঙ্গ। কিন্তু সংযম না করিয়া লোকে যে ইন্দ্ৰিয় নষ্ট করিতে ইন্দ্ৰিয়-দ্বারের শক্তি নষ্ট কিম্বা অবয়ব ছেদন করে, ইহারই নাম যোগের ব্যভিচার। লোকের চেষ্টায় ইন্দ্ৰিয় দ্বারে প্রকাশিকা শক্তি নষ্ট হয় বটে, কিন্তু ইন্দ্ৰিয়ের শক্তি হৃদয়মধ্যে ক্রীড়া করিতে থাকে। এবং তুষানলের ন্যায় যন্ত্রণা দান করে। এরূপ ব্যক্তি সকল বাহিরে আবরণ দিয়া ধাৰ্ম্মিক ও সাধু বলিয়া লোকের নিকট সম্মানিত ও পূজিত So 8