পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইতে পারে, কিন্তু ভগবানের রুদ্র মুখ ব্যতীত কখন প্ৰশান্ত মুখের আভাসও বুঝিতে পারে না। একান্তহৃদয় হইয়া ডাকিলে ভগবান পঞ্চমহাপাতকীকেও দয়া করেন ; কিন্তু তিনি এরূপ ব্যক্তির প্রতি নিতান্ত বিমুখ। অতএব, এই প্রকারে যে ইন্দ্ৰিয়-সংযম, তাহা ইন্দ্ৰিয়-সংযমের বাচ্য না হইয়া যোগের ব্যভিচার শব্দেরই বাচ্য। “ইন্দ্ৰিয়-সংযম লোকে এক্ষণে যেমন কষ্টকর ও দুঃসাধ্য মনে করিয়া থাকে, বাস্তবিক তাহা তাদৃশ কষ্টকর ও দুঃসাধ্য নহে। লোকে অবিহিত কাৰ্য্য করিয়া অভ্যাসকে স্বভাবে পরিণত করিয়াছে। সুতরাং ত্যাহা পরিত্যাগ করিতে ক্লেশকর ও দুঃসাধ্য মনে করে। এই অভ্যাস আবার দুই একদিনের নহে, জন্ম জন্মান্তরের। সুতরাং ইন্দ্ৰিয়-সংযম লোকের পক্ষে ক্লেশকর ও অসাধ্য হইয়া উঠিয়াছে। এই নিমিত্ত জ্ঞান, যোগ ও ভক্তির যাহা কিছু বাহিরের কাৰ্য্য, লোকে কেবল তাহারই অনুষ্ঠান করিয়া থাকে এবং তাহা করিতেও ভালবাসে। কেন না ইন্দ্ৰিয়-সংযম না থাকিলেও ঐ সমুদায় বাহকৰ্ম্মের কোন বিস্ত্ৰ উপস্থিত হয় না; কিন্তু অধ্যাত্ম-সাধনে কোন এক ইন্দ্ৰিয় স্থলিত হওয়া দূরে থাকুক, চঞ্চল হইলেও সাধনপথে তিষ্ঠিয়। থাকা সুকঠিন। বাহিরের কার্য কেবল মন্দের ভাল অর্থাৎ যাহারা কিছুই করে না, তাহারা যতটুকু করে তাহাই ভাল ; এবং ভক্তি সহকারে এই সকল কাৰ্য্য অনুষ্ঠিত হইলে, তাহার দ্বারা অধ্যাত্ম-সাধনে উঠিবার প্রথম সোপান নিৰ্ম্মিত হয় । এক পদার্থের সহিত অন্য পদার্থের অথবা এক আত্মার সহিত অন্য আত্মার একীভূত করিবার নাম যোগ। তাহা হইলে এ কথা বেশ বলিতে পারা যায় যে, ইন্দ্ৰিয়-সংযমের ফল যোগ ; কেবল যোগ নহে, সৰ্ব্বপ্ৰকার যোগের, বিশেষ আত্মযোগের প্রথম ও প্রধান অঙ্গ। ইন্দ্ৰিয়-সংযমের ফল যেমন যোগ, তদ্রপ যোগের ফল ভগবানে অবস্থান ও তত্ত্বজ্ঞান। বৃত্তির So G