পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুগত হইয়া ইন্দ্ৰিয় সকল বাহিরের নানা বিষয়ে নিযুক্ত থাকে ; তাহা হইতে তাহাদিগকে আকর্ষণ পূর্বক নিরোধ অর্থাৎ চিত্তস্থানে সংগৃহীত ও আবদ্ধ করিলে তৎপরে ভগবানের যোগ করিতে হইবে, ইহারই নাম ইন্দ্ৰিয়-সংযম যোগ। যতদিন এই প্রকারে ইন্দ্ৰিয়-সংযম যোগ সাধন না হয়, ততদিন আত্মযোগে প্ৰবেশ করিবার অধিকার কাহারও হয় না এবং হইতে পারে না । ইন্দ্ৰিয় সংযম ব্যতীত আত্মযোগ সাধন। ত হইতেই পারে না ; কিন্তু হঠযোগী ইন্দ্ৰিয়-পরায়ণ হইলে তিনিও অনেক কাৰ্য্যে অকৃতকাৰ্য্য হইয়া থাকেন। ইন্দ্ৰিয়গণ বাহিরে সৎকাৰ্য্যে নিযুক্ত থাকিলে তাহাকে সদাচার এবং অসৎ কাৰ্য্যে নিযুক্ত থাকিলে তাহাকে অসদাচার বলে। কিন্তু ভগবদ্ভক্তগণ বলেন যে, ইন্দ্ৰিয়গণ যে পৰ্যন্ত ভগবানে যুক্ত না হয়, সে পৰ্যন্ত সদসৎ যাহাতেই নিযুক্ত থাকুক, তাহাকেই অসংযম ব্যভিচার বলে। তবে ইন্দ্ৰিয়গণ সতে যুক্ত থাকিলে সমাজনীতি ও রাজনীতি অর্থাৎ শাস্ত্রানুসারে লোক দণ্ডাহা হয় না, আর অসতে যুক্ত হইলে দণ্ডাহা হইয়া থাকে, এই মাত্র বিশেষ । এই স্থানে আর একটি কথার অতি সংক্ষেপে একটু আভাস প্রদান করিতেছি। উপরে যে ইন্দিয়সংযম যোগের কথা বলিলাম, এই সংযম-যোগ জ্ঞানী ও ভক্ত যোগীদিগের ঠিক এক প্ৰকার নহে!—কিঞ্চিৎ ইতারবিশেষ আছে। জ্ঞানীর প্রার্থনা “হে পরমপুরুষ, তোমার শক্তিতে আমার প্রতি ইন্দ্ৰিয় শক্তি সংযুক্ত হইয়া তোমার জগতের সেবা করুক।” প্ৰেমভক্ত তাহা বলেন না ; তিনি বলেন “তোমার প্রতি অঙ্গ লাগি মোর প্রতি অঙ্গ फें ।" ইন্দ্ৰিয়-সংযমের কথা বলিতে বলিতে আমরা জ্ঞানযোগ ও প্ৰেমভক্তিযোগে আসিয়া পড়িয়াছি। কেমন করিয়া এ কথা উঠিল, তাহা আমি ভাবিয়া পাইতেছি না ; তবে ইন্দ্ৰিয়-সংযম হইতে কথাটা যে না আসিতে و e |