পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যমান আছে, পশু পক্ষী কীট পতঙ্গ দেব দানব মানব বলিয়া তাহার কিছুমাত্র ইতারবিশেষ নাই। জই জন্যই আহার নিদ্ৰা ভয় ইত্যাদি বৃত্তি চরিতাৰ্থতা জন্য নানা বুদ্ধিচাতুৰ্য উপস্থিত করিলেও তাঁহা সাধারণ পশুজ্ঞান হইতে উচ্চ বলিয়া গণ্য বা মান্য নহে। মানব যে শিল্পনৈপুণ্য প্ৰকাশ, বলের কাজ কলে সাধন, এবং প্রজা শাসন, প্ৰজারক্ষণ, বিদ্রোহিদমন ইত্যাদি রাজকাৰ্য্য নির্বাহ করিয়া আপনাকে জ্ঞানী বলিয়া অভিমান করে, তাহা যে তাহার নিতান্ত মোহমুগ্ধতার পরিচয়, তাহাতে সন্দেহ মাত্র নাই। পশু পক্ষী ও কীটদিগের যে প্রকার গৃহনিৰ্ম্মাণ বিষয়ে শিল্পচাতুৰ্য্য, আহার সংগ্রহের জন্য কৌশল-বিস্তার ও রিপু, কর্তৃক আক্রান্ত হইলে আত্মরক্ষার জন্য নানা উপায় উদ্ভাবন করিতে দেখা যায়, তাহাতে মানব হইয়া শিল্প কল ও রাজকাৰ্য্যে মানব যে বড় অধিক জ্ঞান ও বুদ্ধির পরিচয় প্রদান করিয়া থাকেন, তাহা নহে। এই সাধারণ বা অপর জ্ঞানের উচ্চ সীমারোহী মহাবাহাদুর কি সম্রাট, কি শিল্পি চূড়ামণি, কি আধুনিক বিজ্ঞানবিৎ, কাহারই মায়াজন্য রোগ শোক তাপ ও জরা মৃত্যু দুঃখ প্রভৃতি সংসারক্লেশ নিবারণ করিবার সামর্থ্য নাই। সাধারণ বা অপর জ্ঞানের সেবা করিয়া রাজা, মন্ত্রী, কি সম্রাট হইলেও মায়া-যন্ত্রণা পরিহার পূর্বক প্রকৃত শান্তির বিমলানন্দ উপভোগ করিবার সাধ্য ইহা কি পর সংসারে কাহারও নাই। যেহেতু পাপ পুণ্য সচরাচরই অনুগামী হয়। বিজ্ঞান অর্থাৎ বিশেষ জ্ঞান। বিশেষ জ্ঞান কাহাকে বলে? জল বলিয়া যে একটী পদাৰ্থ আমরা সচরাচর পত্যেক্ষ ও ব্যবহার করি, ইহার গুণ শীতলতা, কাৰ্য্য পিপাসানাশ ; এই পৰ্য্যন্তই সাধারণ জ্ঞানের অধিগম্য । তৎপর যে ইহার বিশেষ তত্ত্বগ্ৰহণ, তাহাই বিজ্ঞানের সূক্ষ্মদৃষ্টির অন্তভূক্ত ; যথা, এই শীতলগুণযুক্ত, জীবের পিপাসাশান্তিকারী জল কোথা হইতে আসিলা ? জীবের পিপাসানাশের প্রয়োজন জানিয়া কে ইহাকে এরূপ 否 ֆ SN)