পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিযোগে যে আনন্দের উপলব্ধি হয়, শুষ্ক ব্ৰহ্মজ্ঞানে বা অন্যান্য যোগनांक्षgन ऊांश् श्न ना । ভক্তি-যোগ । ভক্তি কাহাকে বলে, তাহা বুঝিতে না পারিয়া ভক্তিযোগের তত্ত্ব অবগত হইতে ইচ্ছা করা, আর বর্ণপরিচয়হীন বালকের রামায়ণ মহাভারতাদি গ্ৰন্থ পাঠে পুরাণবেত্ত হইতে ইচ্ছা করা, একই কথা। ভক্তির স্বরূপলক্ষণ নিরূপণ করিতে পারে, জগতে এমন কোন ভাষার সৃষ্টি হয়ও নাই ও ভবিষ্যতে হইবারও সম্ভাবনা নাই। কারণ ভক্তি গোলোককৈলাসের সম্পত্তি। ভক্তিলতিকার আশ্রয় ভগবত্তারু যেমন অনির্বচনীয়, এই লতিকাও তদ্রুপ অনির্বচনীয়া ; সুতরাং বাক্যে বা লিপিতে ইহার স্বরূপ প্ৰকটিত করিতে চেষ্টা পাষাণে বীজাম্বুরোৎপাদন চেষ্টার ন্যায় বৃথা আয়াসমাত্র, সন্দেহ নাই। “ভক্তি” এই দুটা অক্ষর শ্রুতিগোচর হইবামাত্র যাহার হৃদয়ে ইহার আনন্দমধুররাসোৎস উৎসারিত হইয়া পড়ে, কেবল সেই ভক্তই ভক্তির স্বরূপতত্ত্ব অবগত এবং সেই ভক্তিযোগে ভক্তবৎসল। ভগবানের নিত্যলীলার নিত্য-সহচর হইয়া মৰ্ত্ত্যদেহে অমৃততত্ত্ব লাভ করিয়া থাকেন। বালককে যেমন যৌবনসম্ভব দাম্পত্যপ্ৰণয়ের মধুরতা, বালিকাকে যেমন যুবতীর পতিসহবাসসুখ এবং গোদুগ্ধপুষ্ট মাতৃহীন বালককে যেমন মাতৃ-স্তনের অমৃতোপম দুগ্ধের আস্বাদন বাক্যে বা লিপির সাহায্যে বুঝাইবার কোন ভাষা নাই এবং তত্তং বিষয় সম্ভোগকারী ব্যতীত অন্যের বুঝিবারও সাধ্য নাই ; তদ্রুপ অভক্তকে অর্থাৎ যিনি ভক্তির মধুরতা কখন অনুভব করেন নাই, তাহাকে ভক্তিতত্ত্ব বুঝাইবার কোন ভাষাও জগতে প্ৰচলিত নাই এবং ভক্ত ব্যতীত ভক্তির অমৃতময় স্বাদ উপলব্ধি করিবারও অন্যের সাধ্য নাই। তবে, অনুপযুক্ত d R o