পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহার পর ক্ৰমে বটবৃক্ষের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বীজ হইতে কাণ্ড শাখা প্ৰশাখা ইত্যাদির বিস্তুতির ন্যায় ব্ৰহ্মতত্ত্বের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অবস্থা হইতে পর্যতঃপর স্কুলাবস্থায় পরিণতিতত্ত্ব যেরূপ অপূৰ্ব্বভাবে বিন্যস্ত হইয়াছে, সাধনতত্ত্বপিপাসু নিজে পাঠ করিয়া অনুভব না করিলে অন্যের কথায় বা লেখায় তাহা ব্যক্ত হইবার নহে। ব্ৰহ্মাংশ জীবের ব্ৰহ্মতত্ত্বে আত্মমজ্জন করিতে হইলে যোগ, জ্ঞান, ভক্তির যে কোন পথে যেরূপে অগ্রসর হইতে হইবে, গিরিরাজের কৈলাসধামে শিবশক্তি-উমা মহেশ্বরের সন্নিধানে উপস্থিতি-প্রসঙ্গে তাহা অতি সুন্দরভাবে লিখিত হইয়াছে। সংযম, ধ্যান, ধারণা, সমাধি ইত্যাদি সাধনার অঙ্গসমূহ; সত্ত, রজঃ, তমঃ, আদি গুণসমূহের আধিক্যভেদে জীবের প্ৰকৃতিভেদ, সাকার নিরাকারতত্ত্বের মধুর সন্মিলন ইত্যাদি নানাভাবরসাত্মক তত্ত্বের বিস্তুত ব্যাখ্যা সাধনােন্মুখ সাধকগণের সম্বন্ধে যথার্থই পখিপ্ৰদৰ্শক শিক্ষাগুরুরূপে কাৰ্য্য করিতেছে। সংসারের ক্ষণস্থায়ী ঐশ্বৰ্য্যসুখে নিম্পূহ হইয়া যাহারা ব্রহ্মৈশ্বৰ্য্যের অতুল আনন্দের অভাবে যথার্থই কাঙ্গাল সাজিয়াছেন, তাহারা কাঙ্গালের ব্ৰহ্মতত্ত্বামৃতপূৰ্ণব্ৰহ্মাণ্ড-বেদে অতুল্য আনন্দ, পরম প্রীতি, ব্ৰহ্মরসাস্বাদে প্রভূত তৃপ্তি লাভ করিতে পরিবেন, সন্দেহ নাই। কাঙ্গাল সংসারের চক্ষে কাঙ্গাল হইয়া কুটীরে বাস করিলেও তাহার ব্ৰহ্মাণ্ড-বেদোদ্যানের বিস্তুতি নিতান্ত অল্প নহে। তিনি সুবৃহৎ ছয় খণ্ড ব্ৰহ্মাণ্ড-বেদ প্রচারকাৰ্য্য শেষ করিয়া সাধনোচিত ধামে প্ৰস্থান করিয়াছেন। তঁহার ব্ৰহ্মাণ্ড-বেদের আরও কিয়দংশ অপ্ৰকাশিত অবস্থায় পড়িয়া আছে। তিনি আরও কিছুদিন বঁাচিয়া গেলে ব্ৰহ্মাণ্ড-বেদ শেষ করিতে না পারুন, আরও অনেক দূর অগ্রসর করিতে পারিতেন। আমি কাঙ্গাল হরিনাথের ব্ৰহ্মাণ্ড-বেদের অতি সামান্য পরিচয় অতিশয় সংক্ষেপে দিলাম। ইহা হইতেই পাঠকগণ বুঝিতে পারিতেছেন, কাঙ্গালের 8