পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাগ্ৰত বা প্ৰসন্ন হইলে জীবের আত্মজ্ঞানের প্রথম উন্মেষ হইয়া থাকে। যে সাধকের যতদূর এই জ্ঞানের উন্মেষ হইয়াছে, তাহার নেত্ৰাদি হইতে বিদ্যুতালোকবৎ তাদৃশ আলোক প্রকাশিত হইয়া ক্রীড়া করে। এই আলোক সাধক ব্যতীত অন্যের দর্শনীয় নহে। মনুষ্যের মূলাধারচক্ৰপৃথ্বী গুণময় ; সুতরাং কুণ্ডলিনী জাগ্রত হইলে পৃথিবীর প্রধান গুণৈশ্বৰ্য নানাপ্রকার সৌগন্ধ সাধকের নাসারান্ধে, প্রবেশ করে। সাধক ব্যতীত অন্য ব্যক্তি এই আস্ত্ৰাণ প্ৰাপ্ত হয় না। বিদু্যদ্বৎ আলোক দর্শন ও নানাবিধ সুগন্ধ আত্মাণ কুণ্ডলিনীশক্তি জাগ্রত হইবার অব্যৰ্থ প্ৰমাণস্বরূপ। কুণ্ডলিনী ব্রহ্মের জ্ঞান ও প্ৰেমময়ী তড়িচ্ছক্তির আধার, তন্নিমিত্ত সৌদামিনীস্বরূপিণী হইয়াছেন। মানবদেহ অসম্পূর্ণ হইলেও দেহী অর্থাৎ জীব উক্ত শক্তির প্রভাবে বৰ্ত্তমান দেহেই দেবত্ব ও দেবত্বের পর শিবত্ব লাভ করিয়া ব্ৰহ্মের নিত্যলীলার সহচরত্ব বা সহচরীত্ব পৰ্য্যন্ত লাভ করিয়া থাকে। শাস্ত্রকারেরা কুণ্ডলিনীশক্তিকে নিদ্রিতা বলিয়াছেন। ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে, মানবদেহে মূলশক্তি অস্ফুট বা নিশ্চেষ্টাবস্থায় থাকে। কায়াগ্নি ও স্নায়বিক অপরাশক্তির উত্তেজনার দ্বারা উক্ত পরাশক্তিকে উদ্বোধিত অর্থাৎ বোধন করিয়া ক্ৰমান্বয়ে তাহার উৰ্দ্ধগতি সম্পাদন করিতে হয়। বাস্তবিক, ইহারই নাম ষট চক্ৰভেদ। প্রথমচক্ৰ মূলাধারে কুণ্ডলিনীর বােধন করিয়া দ্বিতীয় স্বাধিষ্ঠানে উক্ত শক্তিকে উন্নীত করিবে। স্বাধিষ্ঠান জলস্থান অর্থাৎ জলেতে ব্ৰহ্মের যে স্বরূপশক্তি আছে, স্বাধিষ্ঠানচক্ৰে কুণ্ডলিনীশক্তি উন্নীত হইলে জীব সেই জ্ঞান লাভ করিয়া থাকে। এই জ্ঞান লাভ করিলে পূৰ্ব্ব প্রকাশিত বিদ্যুতালোক, তাহা অপেক্ষা কিছু গাঢ়তর বোধ হয় এবং জলকণসমূহে সূৰ্য্যকিরণ পতিত হইয়া যেমন নানাবর্ণের উদ্ভাবন করে, এই চক্ৰে সাধক তদ্রুপ নানাবর্ণ দেখিয়া আনন্দিত হইয়া থাকেন। তদুদ্ধে S Rz'