পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মণিপুরচক্রই অগ্নিস্থান। কুণ্ডলিনীশক্তি সেই স্থানে প্ৰবেশ করিলে অগ্নিতে ব্ৰহ্মের যে স্বরূপশক্তি আছে, জীব সেই জ্ঞান লাভ করিতে সমর্থ হয় এবং গাঢ়তর বিদ্যুদালোকে আরও গাঢ়তা ও কিছু কিছু উষ্ণতার অনুভব হইয়া থাকে। কুণ্ডলিনী অগ্নিস্থান ভেদ বা অতিক্রম করিয়া বায়ুচক্র হৃদয়স্থানে উন্নীত হইলে জীব, বায়ুতে ব্ৰহ্মের যে স্বরূপশক্তি আছে, তাহা পরিজ্ঞাত হইয়া সত্ত্বগুণ প্রাপ্ত হয়। যে হেতু সত্ত্বগুণ হইতে বায়ুর প্রকাশ ; উক্ত সত্ত্বগুণ যতই বিশুদ্ধ হইতে থাকে, জীবও ব্রহ্মবিভূতি ও ব্ৰহ্মলীলা ততই পরিস্ফুটরাপে প্রত্যক্ষ করেন। ঐ সকল বিভূতি ও লীলা বৈকুণ্ঠলীলার আভাসমাত্র; সুতরাং সাধক নিজের ভাব-সাধনানুসারে ঐশ্বৰ্য্যময়ী রামলীলা ও কৃষ্ণলীলা প্রভৃতি ব্রহ্মের ঐশ্বৰ্য্যলীলা দর্শন করিয়া থাকেন। ইহার পূর্বে প্রতি চক্রে স্বরূপশক্তি ও তাহার বিভূতি প্ৰত্যক্ষ হয়, কোনপ্রকার লীলা প্ৰত্যক্ষ হয় না । জীবের অন্যান্য গুণ সত্ত্বগুণে তন্ময় ও সত্ত্বগুণ নিগুৰ্ণ ভাবাপন্ন হইলে হলাদিনীশক্তি প্ৰকাশ হইয়া সাধকের দ্বাদশদল হৃদয়পদ্মের কেন্দ্ৰচক্ৰে যে ব্রজলীলার আভাস উদ্ভাসিত করে, তাহা ঐশ্বৰ্য্যময়ী বৈকুণ্ঠলীলা নহে, মাধুৰ্যময়ী গোলোকলীলার ভাবোচ্ছাসের ছায়ামাধুরী মাত্র। ব্ৰহ্মস্বরূপিণী কুণ্ডলিনীশক্তি, সন্ধিনী ও সন্ধিদাহলাদিনী ত্ৰিশক্তিময়ী। হৃদয়চক্রের নিম্নতর কোন চক্ৰে কুণ্ডলিনীর হলাদিনী অর্থাৎ প্ৰেমশক্তির প্ৰকাশ হয় না। কেবল তদীয় সন্ধিনী সন্বিচ্ছক্তির প্রভাবেই সাধকগণ তত্ৰত্য চক্রগুলির স্বরূপশক্তি ও বিভূতি দেখিয়া থাকেন। কুণ্ডলিনী হৃদয়চক্রে অবস্থান করিলেই যে, সকল সাধকেরই হলদিনী শক্তির প্ৰকাশ হইয়া থাকে, তাহা নহে। যাহাদিগের উক্ত শক্তি প্ৰসন্না হন, কেবল তাহারাই পরিণামে ব্রজলীলাগাথা বলিতে ও লিখিতে পারেন। অন্যথা কেবল সন্বিচ্ছক্তির প্রসন্নতায় ব্রহ্মের ঐশ্বৰ্য্যময়ী ব SR)