পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈকুণ্ঠলীলা পরিণামে বক্তৃতা করিতে ও লিখিতে সমর্থ হইয়া शंका ॥ হৃদয়চক্রের উৰ্দ্ধদেশে কণ্ঠচক্র। এই কণ্ঠচক্রকে আকাশচক্রও বলা যাইতে পারে। কেন না। কণ্ঠই শব্দোৎপত্তির স্থান। এই স্থানেই বিষ্ণুশক্তি বাগদেবী বিরাজ করিতেছেন। কুণ্ডলিনী এই স্থানে উন্নীত এবং তদীয় সন্বিচ্ছক্তির সহিত কণ্ঠস্থ বাগবাদিনী শক্তির মিলন হইলে সাধক বাকসিদ্ধি লাভে কবি হইয়া থাকেন। পরন্তু হৃদয়চক্ৰে ব্ৰহ্মের যে লীলা দর্শন করিয়াছেন, তখন তাহা গীতি ও গদ্যে পদ্যে প্ৰকাশ এবং সাধু ভক্তগণের হৃদয়ানন্দবৰ্দ্ধন করিয়া। আপনিও পরমানন্দ সম্ভোগ করেন। আদিকবি বাল্মীকি ও মাধুৰ্য্য লীলাকবি ব্যাসদেব প্রভৃতি কবিগণ এই প্রকারেই ব্ৰহ্মলীলা কীৰ্ত্তন করিয়াছিলেন। সাধকের হৃদয়চক্ৰে সত্ত্বগুণের যে বিমলত্ব, তাহাই শুদ্ধচৈতন্য অর্থাৎ নারদ নামে পুরাণাদিতে ব্যাখ্যাত হইয়াছে। রামায়ণ রচনার পূৰ্ব্বে বাল্মীকি ও শ্ৰীমদভাগবত রচনার পূর্বে ব্যাসদেবের সহিত দেবর্ষি নারদের সাক্ষাৎকার একবার আলোচনা করিয়া দেখ, তাহা হইলে আমার এই তত্ত্বকথা অনায়াসেই বুঝিতে পরিবে। উক্ত জ্ঞান ও প্ৰেম কবিদ্বয়ের অনুসরণ করিয়াও পূৰ্ব্বসুকৃতিলভ্য কবিতাশক্তির প্রভাবেও অনেক ক্ৰমানুকবি রামলীলা এবং শ্ৰীকৃষ্ণের ব্রজ ও মাথুরালীলাময় বিবিধ গ্ৰন্থ ও গীতি প্ৰণয়ন করিয়া যশঃকীৰ্ত্তিলাভে কৃতাৰ্থ হইয়াছেন ; কিন্তু ইহারা চক্ৰ-সাধন করিয়া নিজে কিছুই প্ৰত্যক্ষ করেন নাই। সে যাহা হউক, এই প্রকারে সাধককে অলৌকিক বাকশক্তিসমর্থকরিয়া কুণ্ডলিনী যখন ধ্যাননিকেতন ভ্রযুগলচক্রে উন্নীত হইয়া থাকেন, অর্থাৎ ব্ৰজজ্ঞান লাভের কারণকোষে প্ৰবিষ্ট হন, সাধক তখনই অসীম জগৎ এবং জগৎপতির জগন্ময় অভূতৈশ্বৰ্য্য ও জ্ঞান ধারণা করিতে \)0