পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমর্থ হইতে পারেন। এই চক্ৰে সৰ্বপ্রকার আবরণমুক্ত হইয়া সাধক ত্ৰিনেত্ৰে ব্ৰহ্মদর্শনের শক্তি লাভ করে। অর্থাৎ সাধক প্রথম মূলাধারচক্ৰ হইতে কণ্ঠচক্ৰ পৰ্যন্ত ব্ৰহ্মের যে সকল স্বরূপশক্তি ও হৃদয়চক্রে যে লীলাভাস অনুভব ও দর্শন করিয়াছিলেন, তৎসমুদায়ের অপূৰ্ব্ব মূৰ্ত্তিসকল স্পষ্টই দেখিতে সমর্থ হন। অধিকন্তু ব্ৰহ্মজ্ঞানস্বরূপের যুগল অর্থাৎ জ্ঞানশক্তি সন্বিতের সহিত জ্ঞানস্বরূপ উমকিশোর যুগলমূৰ্ত্তি প্ৰত্যক্ষ করিয়া অথবা দেখার মত দেখিয়া কৃতাৰ্থ হইয়া থাকেন। ব্ৰহ্ম জ্ঞানশক্তিস্বরূপেই দেবাদি, মনুষ্যও জীবকে জ্ঞানদান করিয়া থাকেন, তন্নিমিত্ত তিনি জগদগুরু নামে উক্ত হইয়াছেন। অতএব, উমাকিশোর যুগলমূৰ্ত্তিই জীবের গুরুপ্রত্যক্ষ। এই প্রকারে যে সাধকের গুরুপরাৎপর ব্ৰহ্মের জ্ঞানস্বরূপ প্ৰত্যক্ষ হইয়াছে, তাহার পক্ষে অন্য গুরু কি বেদ বেদান্তাদির উপদেশের কোন প্রয়োজন নাই। কারণ সুৰ্য্যোদয় হইলে যে ব্যক্তি দীপালোকে আপনার শরীর দেখিতে যত্ন করে, সে ব্যক্তি অবোধ অথবা উন্মাদ, তাহাতে সন্দেহ নাই। জীবের মূলাধারচক্ৰ পৃথিবী হইতে কণ্ঠচক্র আকাশ পৰ্যন্ত পঞ্চতত্ত্বই সগুণ, তাহার উৰ্দ্ধ ভ্ৰীযুগল- , চক্ৰ হইতে সহস্রার পর্য্যন্ত নিগুণ। অর্থাৎ কণ্ঠচক্ৰ পৰ্য্যন্ত যে স্বরূপশক্তির প্রকাশ হইয়া থাকে, তাহা সত্ত্ব ও বিশুদ্ধত্ব গুণেই, আর ভ্রযুগলচক্ৰ হইতে যে ব্ৰহ্মমূৰ্ত্তির প্রকাশ হইয়া থাকে, তাহ সগুণের ন্যায় প্ৰকাশিত হইলেও নিগুৰ্ণ অর্থাৎ সন্ধিনীশক্তি প্ৰদৰ্শিতা আনন্দঘন জ্ঞানময়ী মূৰ্ত্তি। সুতরাং পঞ্চতত্ত্ব কা কথা, তাহার কারণ যে ত্ৰিগুণ, উক্ত মূৰ্ত্তি তদন্তীত। এই প্রকারে গুরুসাক্ষাৎকার লাভ করাইয়া কুণ্ডলিনীশক্তি সহস্রারপিদ্মে, মস্তিষ্কে প্ৰবেশ করিলে সাধক, জীব, (নিজের ) ও পরমাত্মার স্বরূপ পরিজ্ঞাত হইয়া থাকেন এবং তখন তিনি SNOS