পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যদি সবিশেষ ও নির্বিশেষ সমাধিতত্ত্ব বুঝিয়া থাক, তবে এখন ইহা অবশ্যই জিজ্ঞাসা করিবে যে, কি উপায়ে উক্ত সমাধি লাভ করিতে পারা যায়। মানব মানবী যে যে উপায় অবলম্বন করিলে উক্ত সমাধিযোগ লাভ করিতে সমর্থ হয়, যোগতত্ত্বে তাহা বিস্তারপূর্বক বলিয়াছি, পরিশেষে ষটুচক্রসাধনও অতি সংক্ষেপে বলিলাম। এই ষটুচক্ৰ সাধনের ষষ্ঠ অর্থাৎ আজ্ঞাচক্ৰ ভেদ করিয়া সপ্তমচক্ৰ সহস্রারপদ্মে প্রবেশ করিলেই উক্ত প্রকার সমাধিযোগ হইয়া থাকে, অন্যথা হয় না। আবার সপ্তচক্ৰ সহস্রারের উৰ্দ্ধেই কৈলাস গোলোকে জ্ঞান ও প্ৰেমময়ী পূৰ্ণব্ৰহ্মমূৰ্ত্তি। পরাৎপর ভক্ত ব্যতীত এই মূৰ্ত্তিতে সাধারণ ভক্তের সমাধিযোগ হয় না। কৈলাস গোলোক সপ্তচক্রের বিশুদ্ধ জ্ঞান প্ৰেমমাধুৰ্য্যময় উৰ্দ্ধতম বিশেষ ধাম হইলেও অষ্টম বা চরম চক্রও বলা যাইতে পারে। ইহার বক্তা ও শ্রোতা উভয়ই বিরল জন্য এই চক্ৰ অব্যক্ত অর্থাৎ অতিশয় গোপনীয় । প্ৰেমভক্তিময় রসিকবি ব্যাসদেব নানা পুরাণে লীলা প্রসঙ্গে ইহার আভাসমাত্ৰ উল্লেখ করিয়াছেন। ষট চক্ৰ সম্বন্ধে কেবল এই কথাটী বলিয়া প্ৰস্তাব উপসংহার করিতেছি যে, মূলাধার হইতে আজ্ঞাচক্ৰ পৰ্যন্ত কোন চক্ৰ, কি কোন পদ্ম উৰ্দ্ধমুখ বা অধোমুখ, কত দল ও কি বর্ণযুক্ত এবং তত্ৰত্য স্বরূপশক্তির কি আকার, কি বর্ণ ও কি প্রকার সিদ্ধিসাধন করিবার শক্তি, সিদ্ধঋষিগণ তাহ ধ্যানদৃষ্টিতে প্ৰত্যক্ষ ও ষটুচক্ৰ সাধকগণের হিতাৰ্থ ভাষাবদ্ধ করিয়াছেন। ঐ সমুদায় তত্ত্ব যাহারা কেবল শ্রবণ কীৰ্ত্তন ও নিদিধ্যাসনে সমাধিযোগের চেষ্টা করেন, তঁহাদিগের পক্ষে বিশেষ উপকারী হইলেও প্রাণায়ামশীল ষটুচক্ৰ-সাধকদিগের অর্থাৎ যে সকল যোগী যট্‌চক্ৰভেদ করিয়া সমাধিযোগ লাভ করিতে তপস্যা করিয়া থাকেন, তাহাদিগের পক্ষে পরমোপকারী। 9אסיפי