পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মাণ্ডবেদ সম্বন্ধে আলোচনা করা আমার ন্যায় জ্ঞানহীন ক্ষুদ্ৰাদপিক্ষুদ্র ব্যক্তির পক্ষে কতদূর সম্ভব। আমি ঘোর সংসারী ; আমি দিনরাত্রি ক্ষতিলাভ গণনায় ব্যস্ত, আমি স্বার্থসৰ্বস্ব ; :দিনান্তে ভগবানের নাম গ্ৰহণ করিবার অবকাশও আমি গ্ৰহণ করিতে পারি না। আমি কাঙ্গালের এই পরমপবিত্ৰ সাধনলব্ধ অমূল্য রজের পরিচয় কেমন করিয়া প্ৰদান করিব ? আমি তাহার কি জানি ? আমি তাহার কি বুঝি ? নিজের অযোগ্যতা বুঝিয়া ও জানিয়াও আমি ‘ব্ৰহ্মাণ্ড-বেদের কথা বলিবার জন্য কেন অগ্রসর হইলাম ? তাহার কারণ আছে। আমি কাঙ্গাল হরিনাথের ছাত্র, আমি তঁহার শিষ্য, আমি তাহার দাস বলিয়া গৰ্ব্ব অনুভব করিয়া থাকি। তিনি আত্ম ও সাধনতত্ত্ব সম্বন্ধে যে অমূল্য ভাণ্ডার ব্ৰহ্মাণ্ডবেদের মধ্যে রাখিয়া গিয়াছেন, তাহার অধিকারী না হইলেও সেই ভাণ্ডারদ্বারের প্রহরীর কাৰ্য বহুদিন হইতে করিয়া আসিতেছি। ভাণ্ডারের কোন রত্বের মূল্য কত, তাহা আমি জানি না ; যে সাধনবলে তাহা জানা যায় তাহা আমার নাই ; কিন্তু কোথায় কি আছে, তাহা আমি দেখাইয়া দিতে পারিব। এই ভরসাতেই আমি কাঙ্গালের ব্ৰহ্মাণ্ডবেদ সম্বন্ধে লিখিবার জন্য লেখনী ধারণ করিতে সাহসী হইয়াছি। এই প্ৰকাণ্ড ব্ৰহ্মাণ্ডবেদের কোথায় কি আছে, আমি তাহ পাঠকগণের সম্মুখে উপস্থাপিত করিব; তাহার আলোচনা द दि(स० कब्रिड श्रांत्रिद न । i এই গ্রন্থের নাম ‘ব্ৰহ্মাণ্ড-বেদ’ কেন টেইল, তাহার সম্বন্ধে আমি কিঞ্চিৎ বলিয়াছি। এ সম্বন্ধে কাঙ্গাল বলিয়াছেন—“ব্ৰহ্মাণ্ডই ব্ৰহ্মাণ্ডসৃষ্টিকৰ্ত্তার তত্ত্ব বলিতেছে এবং উপদেশ দিতেছে বলিয়া, এতৎ গ্রন্থের “ব্ৰহ্মাণ্ড-বেদ’ নামকরণ হইল। আত্মপর, স্বদেশ বিদেশ, খণ্ড অখণ্ড, পৃথিবী, উপগ্রহ, সূৰ্য্য, নক্ষত্ৰ যাহার বিষয় অখণ্ড ব্ৰহ্মাণ্ড অথবা অখণ্ড ব্ৰহ্মাণ্ডের লোকেই যে কথা বলে, তাহারই নাম ব্ৰহ্মাণ্ড-বেদ।”