পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঙ্গাল আরও বলিয়াছেন “কেহ জিজ্ঞাসা করিতে পারেন, তবে “কাঙ্গালের ব্ৰহ্মাণ্ডবেদ” বলা হইল কেন ? যাহার বেদাদি ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰে অধিকার নাই, সে কাঙ্গাল। কাঙ্গালের বেদাদি ধৰ্ম্মশাস্ত্রে অধিকার নাই বটে, কিন্তু ব্ৰহ্মাণ্ড-বেদাধিকারের স্বত্ব তাহার বিলক্ষণ রহিয়াছে। সে ইচ্ছা করিলে এই বেদের অক্ষর, শব্দ ও পদসকল দৃষ্টি এবং উচ্চারণের শক্তি না থাকিলে মনে মনে অধ্যয়ন ও তাহার অর্থকরণ, ব্যাখ্যাদি করিতে পারে। কাহার সাধ্য, এই স্বত্বাধিকার হইতে তাহাকে বঞ্চিত করিতে সমর্থ হয়? কাঙ্গালের নিজের আর কিছুই নাই, কিন্তু ভিক্ষা করিতে লজ্জাহীনতা বিলক্ষণ আছে। কাঙ্গাল, বন্ধুবান্ধব, গুরু, বেদ, পুরাণ, কোরাণ, বাইবেল প্ৰভৃতি এবং ব্ৰহ্মাণ্ডের দ্বারে দ্বারে মাধুকরী করিয়া অণুমাত্র সত্য যাহা কিছু পাইবে, তাহাই আনিয়া এই ভিক্ষার বুলিতে রাখিবে, এবং সেই সকল কথাই বলিবে ; ইত্যাদি নানা কারণে ইহার নাম “কাঙ্গালের ব্ৰহ্মাণ্ডবেদ, হইয়াছে।” কাঙ্গাল ফিকিরীচাঁদ, আমি আছি, অথচ আমি তাহা বিশ্বাস করি না, এরূপ তর্ক পাগলের তর্কজালে সৌভাগ্যক্রমে পতিত না হইয়া আকাশে, ধরাতলে এবং আপনার দেহ-ব্ৰহ্মাণ্ডের অভ্যন্তরে দৃষ্টি করিয়া নিম্নলিখিত গীতির আভাস প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন এই ত রয়েছ তুমি প্ৰকাশিত নিজ মহিমায়। কেমনে বলিব আমি, আমি আছি, তুমি নাই হেথায়। ১। প্ৰতি শিরায় অবিরত, শোণিতবিন্দু প্রবাহিত, নিশ্বাসপ্ৰশ্বাসগত, প্ৰাণবায়ু সঞ্চারিত ; এই সব ক্রিয় নির্বাহিত হয় কি মম চেষ্টায়। ২। এই যে, জীবের জীবন পবন, সদা করিতেছে ভ্ৰমণ, বারিদ করে বরিষণ, এ কি মম ক্ষমতায় ; \9