পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“কাঙ্গালের ছেড়া টেনা, নাইক সোণা, তাই, কর ঘূণা কাঙ্গাল ব’লে ; কাঙ্গালের সর্বস্ব ধন, অমূল্য ধন, ধনী হবে সে ধন পেলে ।” কাঙ্গাল অমূল্য ধনের অধিকারী হইয়া পার্থিব ধনকে, মানসভ্রমকে ধূলি জ্ঞানে তুচ্ছ করিয়াছিলেন ; কিন্তু আমরা ত তাহ পারি না, আমরা ত সে অমূল্য ধনের কোন খোঁজ পাই নাই ; তাই বাঙ্গালার সাহিত্য-জগৎ, রাজনীতি ক্ষেত্র, ধৰ্ম্মজগৎ হইতে কাঙ্গালের নাম লুপ্ত হইতেছে দেখিয়া আমরা ক্ষুব্ধ, দুঃখিত, ব্যথিত হইয়াছি, এবং সেই জন্যই নিতান্ত অযোগ্য হইয়াও আমি কাঙ্গাল হরিনাথের পরিচয় দিবার জন্য অগ্রসর হইয়াছি। বড় দুঃখেই এই কথা কয়টি বলিলাম! এখন আবার কাঙ্গালের “ব্ৰহ্মাণ্ডবেদের” কথা বলি। অনেকেই এখন পরলোক সম্বন্ধে অনেক আলোচনা করিয়া থাকেন। ব্ৰহ্মাণ্ডবেদে কাঙ্গাল এ সম্বন্ধে কি বলিয়াছেন, তাহার সারমৰ্ম্ম আমরা প্ৰদান করিতেছি। কাঙ্গাল বলিয়াছেন “কাহারও বিশ্বাস পরলোক নাই, আবার কাহারও বিশ্বাস পরলোক আছে। যাহারা পরলোক বিশ্বাস করেন না, তঁাহারা পরলোক দেখেন নাই ; অতএব অবিশ্বাস করা তাহদের পক্ষে নিতান্ত অন্যায় নহে। তবে অন্যায়ের বিষয় এই যে, যে পথ অবলম্বন করিলে ইহলোকে থাকিয়াই পরলোক দৰ্শন করা যায়, তাহারা সে পথ অবলম্বন না করিয়া কেবল তর্ক দ্বারা পরলোক নিশ্চয় করিতে গিয়া প্ৰতারিত হন এবং চিরকালই পরলোক বিষয়ে অন্ধ থাকিয় আপনার সর্বনাশ করেন। পরলোক কখনও তর্কে নিশ্চয় হইতে পারে না। যে ব্যক্তি কখনও দুগ্ধ পান করে নাই, তাহাকে দুগ্ধের আস্বাদন বুঝাইয়া দিবার জন্য যতই তর্ক করা না হউক, যতদিন সে R O