পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুগ্ধ পান না করিবে, ততদিন দুগ্ধের কি আস্বাদ তাহা যেমন বুঝিতে পরিবে না, তদ্রুপ যে পরলোক দেখে নাই, সে যে পৰ্যন্ত পরলোকের দৃশ্য না দেখিবে সে পৰ্যন্ত কিছুতেই তাহা বুঝিতে পরিবে না। ইহলোকেই পরলোক-দৰ্শন সাধনসাপেক্ষ । বিনা সাধনে কেহ তাহ দেখিতে পান না । আবার র্যাহারা পরলোক বিশ্বাস করেন, তাহাদিগের মধ্যে অনেকেরই ভাগ্যে ইহলোকে পরলোক-দৰ্শন ঘটিয়া উঠে না। তাহারা কেবল শাস্ত্ৰবাক্যে বিশ্বাস করিয়া পরলোক মানিয়া চলেন। সুতরাং কাৰ্য্যকালে পরলোকে বিশ্বাস। তঁহাদিগের হৃদয়ে প্রায়ই তিষ্ঠিয়া থাকিতে পারে না । র্তাহারা পরলোক দেখেন নাই, তাহার ঐশ্বৰ্য্য, সৌন্দৰ্য্য, মাধুৰ্য্যের কথা কিছুই জানেন না এবং বোঝেন না। ইহলোকের ঐশ্বৰ্য্য, সৌন্দৰ্য্য ও মাধুৰ্য র্তাহাদের যথাসৰ্ব্বস্ব ; শাস্ত্রশাসনে ও জ্ঞানীর উপদেশে তাহারা তাহার প্রলোভন কিছুতেই ছাড়িতে পারেন না।” এস্থলে অনেকে এরূপ তর্ক উপস্থিত করিতে পারেন যে, আমরা ইহলোকের সুখৈশ্বৰ্য্য একেবারে পরিত্যাগ করিয়া লোকদিগকে সন্ন্যাসী করিতে ইচ্ছা করিতেছি। আমাদের সংসার-বৈরাগ্যের অর্থ তাহা নহে। পারলৌকিক ঐশ্বৰ্য্যলাভের যাহাতে বিস্ত্ৰ উপস্থিত হয়, সেইরূপ কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিয়া সত্য, জ্ঞান ও ন্যায়পরতার অনুমোদিত ইহলৌকিক ঐশ্বৰ্য উপভোগ করা ভগবানের অপ্রিয় কাৰ্য্য নহে ; বরং তাঁহাই তাহার। ইহলৌকিক প্রিয়কাৰ্য্য সাধনের উপায়। কিরূপে ইহলোকেই লোকের হৃদয়ে পরলোকের দৃশ্য প্ৰকাশিত হইতে পারে ; সে সম্বন্ধে কাঙ্গাল যে কয়েকটা কথা বলিয়াছেন, তাহা প্ৰণিধান করিতে আমরা সকলকে অনুরোধ করিতেছি। তিনি বলিয়াছেন—“আমাদিগের বাহিরে যেমন দুইটী চক্ষু আছে, সেই চক্ষুর দর্শনীয় বিষয় যেমন ইহলোক; তদ্রুপ অন্তরেরও আর একটী চক্ষু আছে, তাহার দর্শনীয় বিষয় পর RS