পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোক । বাহিরের চক্ষুতে কেবল দর্শন করা যায়, অন্তরের চক্ষুতে দর্শন, শ্ৰবণ, আন্ত্রাণ, আস্বাদন ও স্পর্শ সকলই হইয়া থাকে। ইহলৌকিক বস্তু সকল ইন্দ্ৰিয় দ্বারা জ্ঞানযুক্ত হইলে যেমন ইহলৌকিক দর্শন ক্রিয়া হয়, সেইরূপ ভক্তিযোগে পারলৌকিক দৃশ্য সকল জ্ঞানযুক্ত হইলেই পারলৌকিক দর্শন ক্রিয় নিম্পন্ন হইয়া থাকে। এখন একটু চিন্তা করিলে স্পষ্টই বুঝিতে পারা যাইবে, জ্ঞান ও ইন্দ্ৰিয় যেমন ইহলৌকিক প্রত্যক্ষের হেতু, সেইরূপ পারলৌকিক প্রত্যক্ষেরও হেতু আছে। সেই হেতু জ্ঞান ও ভক্তি। যাহার জ্ঞান আছে ভক্তি নাই, তিনি অন্ধের ন্যায় পারলৌকিক দৃশ্য দেখিতে পান না। যাহার ভক্তি আছে জ্ঞান নাই, তিনি অন্যমনস্ক মনুষ্যের মত চক্ষু থাকিতেও অন্ধ। যেখানে জ্ঞান ও ভক্তির যোগ, সেই স্থানের দৃশ্যই পরলোক । অনেকে এখন জিজ্ঞাসা করিতে পারেন যে, ভক্তি। তবে কি ? এবং মনুষ্যের যে ভক্তি আছে, তাহা কিরূপে জানা যাইতে পারে ? আমরা বলিতেছি, জ্ঞান ত ইন্দ্ৰিয়-প্রত্যক্ষ নহে ; তবে, জ্ঞান আছে, ইহা যে কারণে স্বীকার করিয়া থাকি, সেই কারণে ভক্তি আছে, এ কথা স্বীকার করিতে আপত্তি কি ? ব্ৰহ্মাণ্ডই আমাদের বাহেন্দ্ৰিয়ের দৃশ্য। আবার তাহার অনেক পদার্থই চক্ষুরাদি ইন্দ্ৰিয়ের গ্ৰাহ ; নহে। তৎসমুদায় কি আমরা নাই বলিয়া বিশ্বাস করি ? আমাদের ইন্দ্ৰিয়াশক্তি ও বুদ্ধি জ্ঞানাদি কিছুই দ্রষ্টব্য নহে, অথচ তৎসমুদায় কি নাই বলিয়া আমরা অবিশ্বাস করিয়া থাকি ? এই ত আমরা “আমি, আমি” বলিয়া সৰ্ব্বক্ষণ চীৎকার করিতেছি; আমার সংসার, আমার ঘর বাড়ী বলিয়া কত কথা বলিতেছি, এবং মৃত মানুষ্যের শরীর দেখিয়া, আমার শরীর যে আমি নহে, তাহাও বুঝিতেছি। কিন্তু আমি যে কি, কেহ কি কখন দেখিয়াছি? আমি, আমাকে না দেখিয়াও যখন RR