পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইতে হইলে মৃত্যুর আশ্রয় গ্ৰহণ করিতে হয়। নিরাকার-সাকার ও ভৌতিক-সাকারে এইরূপ অনেক পার্থক্য আছে। নিগুৰ্ণ ব্ৰহ্ম সগুণ হইবামাত্র অর্থাৎ ইচ্ছা প্রকাশ করিবামাত্র, অগ্ৰে নিরাকার-সাকারে আপনাকে বিস্তার করিয়া, পরে ভৌতিক-সাকারে বিস্তৃত হইয়াছেন। অতএব এই ব্ৰহ্মাণ্ডে দুই প্রকার জগৎ বিদ্যমান আছে-আধ্যাত্মিক-জগৎ ও ভৌতিক-জগৎ । আধ্যাত্মিক-জগৎ অর্থাৎ যে জগৎ কেবল আত্মা দ্বারা প্ৰত্যক্ষ হয়-ইন্দ্ৰিয় দ্বারা প্ৰত্যক্ষ হয় না। ভৌতিক-জগৎ অর্থাৎ যে জগৎ ইন্দ্ৰিয় দ্বারা প্ৰত্যক্ষ হয়-আত্মা যতদিন ত্ৰিগুণ অর্থাৎ ভূতে আবদ্ধ থাকে, ততদিন ঐ প্রকারে দর্শন করে মুক্ত হইলে ইন্দ্ৰিয়-দ্বারা ব্যতীতও প্রত্যক্ষ করিতে সমর্থ হয়। এই আধ্যাত্মিক ও ভৌতিক জগৎ কেবল নিগুণ ব্ৰহ্মার বিস্তৃতি ব্যতীত আর কিছুই নহে; সুতরাং কি আধ্যাত্মিক, কি ভৌতিক-জগৎ, সকলই ব্ৰহ্মময়। এই ব্ৰহ্মাণ্ডের সকলই ব্ৰহ্মময়-এইরূপ জ্ঞানের নামই ব্ৰহ্মজ্ঞান। এই ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ করিবার পূর্বে কাঙ্গাল হরিনাথকে কত কি করিতে হইয়াছিল, তাহার আভাস তাহার নিম্নলিখিত গীতটীিতে স্পষ্ট ^& : “ও আমার জ্ঞান হোল না, ধ্যান হবে কি বল না। তুমি, জগৎ মাঝে, জগৎ আছে। কোরে তোমার ধারণা । তুমি আমার একা নও, বাহির অন্তরেতে রাও, জগৎ তোমার পুত্ৰ-কন্যা, জগতের মা হও ;- তোমার যত সন্তান সকল সমান, আপন বৈ কেউ পর না। Vor