পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইচ্ছাতেই ব্ৰহ্ম যখন রমণ ও ক্রীড়া করেন, তখনই ব্ৰহ্মাণ্ডের প্রকাশ হয়। ব্ৰহ্মের ইচ্ছাকেই ব্ৰহ্মরস বলে। এই রসে ব্ৰহ্ম ক্রীড়া ও রমণ করেন বলিয়া সৃষ্টির আদি কারণ রাস হইয়াছে। ব্ৰহ্ম যখন ক্রীড়া হইতে নিবৃত্ত হয়েন, অর্থাৎ আপনার ইচ্ছ। আপনাতে বিলীন রাখেন, তখনই নৌকাখণ্ড । “ব্ৰহ্ম-রস আধ্যাত্মিক জগতে দুই প্রকারে প্রকাশিত হয়। এক শ্যাম রূপে, অপর শুভ্র বা শিবারূপে। সকল বর্ণ যাহাতে প্ৰকাশ, সেই কৃষ্ণবৰ্ণ ; আর সকল বর্ণ যাহাতে অপ্ৰকাশ ও লীনভাবে আছে সেই শুভ্রবর্ণ। অতএব কৃষ্ণ ও শিব, উভয় বর্ণেই ব্ৰহ্মরূপ প্ৰকাশিত হইয়া থাকে। আত্মার ত্রিনেত্র দর্শনকেই আধ্যাত্মিক দৃশ্য বলে এবং শ্রবণেন্দ্ৰিয় ব্যতীত শ্ৰবণকেই ভগবানের আদেশ বলিয়া থাকে। ভগবান যে, এইরূপে আপনাকে প্ৰদৰ্শন এবং আপনার আদেশ প্রচার করেন, তাহ সাধনহীন অবিশ্বাসীর ধারণা করিবার সাধ্য নাই। যাহারা সাধনশীল ও বিশ্বাসী, তঁহাদিগের অনেকের আবার এই বিশ্বাস যে, ভগবান ব্ৰহ্মাকেই ঐ প্রকারে দর্শন দিয়াছিলেন এবং তঁহার নিকটেই আদেশ প্রচার করিয়াছিলেন ; ঐরূপ আর কোথাও হয় না ও হইতে পারে না। কিন্তু বাস্তবিক তাহা নহে। ভগবান র্যাহাকে দয়া করেন, তঁহাকেই ঐ প্রকারে দর্শন দিয়া থাকেন এবং তঁাহার নিকটেই আদেশ প্রচার করেন, ইহাতে সন্দেহমাত্র नाहे ।” r আর একস্থলে কাঙ্গাল হরিনাথ বলিতেছেন-“ব্ৰিহ্মেতে যখন ব্ৰহ্মাণ্ড বিলীন থাকে এবং ব্রহ্মের ইচ্ছার প্রকাশ থাকে না, তিনি তখনই নিগুণ, একথা পূর্বেই বলিয়াছি। তিনি যখন নিগুণ, তখন যে কি ভাবে অবস্থান করেন, তাহা কে বলিতে পারে ? কে বলিবে ? কারণ ব্ৰহ্ম ব্যতীত আর কিছুই থাকে না। তবে তাহা আর কে অনুভব করিবে ? Vy