পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ইঙ্গিত, শব্দ ও বাক্য দ্বারা যেমন হৃদয়ে কোন এক ভাবের সঞ্চার হয়, সেইরূপ রূপের দ্বারাও হৃদয়ে ভাবের উদ্রেক ও সঞ্চার হইয়া থাকে। অর্থাৎ MKKDDBD KKDBBDBD BB DBDBD YB DDDS SYKBD DBB KLEDS হয়। এই প্রকার হয় বলিয়াই তাহার নাম রূপ অর্থাৎ স্বরূপ অথবা স্বভাব হইয়াছে। এই রূপ দুই প্ৰকার,সগুণ ও নিগুণ। নিগুণ রূপে ভৌতিক রূপ নাই, গন্ধ নাই, স্পর্শ নাই; অথচ নিগুৰ্ণ ভাবে সকলই আছে; অর্থাৎ এ রূপ, গন্ধ, স্পর্শাদি ইন্দ্ৰিয় দ্বারা প্ৰত্যক্ষ হয় না, কেবল আত্মাতেই প্ৰকাশিত হয়। এই নিমিত্ত ইহাকে আবার অধ্যাত্ম:রূপ বলে। এ রূপকল্পনা, যত্ন ও চেষ্টায় প্ৰকাশ পায় না। যখন পায়, তখন আপনিই প্ৰকাশ পাইয়া থাকে। এই নিমিত্ত এই রূপকে স্বপ্ৰকাশ বলে। যখন এই রূপ আত্মাতে প্ৰকাশ পায়, তখন আত্মা দেখে, আন্ত্ৰাণ করে এবং স্পর্শমুখে সুখী হয়। এ রূপের শেষ নাই, অতএব অনন্ত। যিনি না দেখিয়াছেন, বাক্যের দ্বারা তঁহাকে এ রূপের কথা বুঝাইবার উপায় নাই। অতএব, এ রূপ অনির্বাচনীয়। মন এ রূপ মনন করিতে পারে না ; এই নিমিত্ত अठि दक्षिप्राgछन् “যতো বাচোঁ নিবর্তন্তে অপ্ৰাপ্য মনসা সহ।” “সগুণ রূপ অর্থাৎ গুণযুক্ত রূপ। এ রূপ চক্ষে দর্শন, নাসিকায় আন্ত্ৰাণ এবং স্পর্শেন্দ্ৰিয়ে স্পর্শ করা যায় ; সুতরাং বাক্য ইহা প্ৰকাশ করিতে এবং মনও মনন করিতে সমর্থ হয়। কিন্তু এই রূপের অন্তরে সেই নিগুৰ্ণ রূপ আছে। বস্তুতঃ, নিগুৰ্ণ সগুণ, সুন্ম স্থূল, সকলই ভগবান। নিগুণ না থাকিলে সগুণের প্রকাশ হয় না। সেই নিগুণের আভাস যখন আত্মাতে প্ৰতিভাত হয়, তখন আর পরিমিত সগুণ আত্মাকে তৃপ্ত করিতে পারে না। আত্মা তখন, মলয় বায়ু পাইলে লোকে যেমন WOS