পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিতেছেন, সেই পুরুষ আমার হৃদয়ে দশাঙ্গুল পরিমিত হইয়া অবস্থিতি করুন।” এই স্থানে কাঙ্গালের একটী গান তুলিয়া দিয়াই আমি বর্তমান প্ৰস্তাবের শেষ করিব। আমি পূর্বেও বলিয়াছি, এখনও বলিতেছি, কাঙ্গাল হরিনাথ তীহার ব্ৰহ্মাণ্ডবেদে যে সমস্ত তত্ত্বের আলোচনা করিয়াছেন, তাহা তাহার সাধনলব্ধ ধন ; তিনি পাণ্ডিত্য-প্রদর্শনের জন্য কিছুই বলেন নাই, তিনি পণ্ডিত ছিলেন না, সুতরাং পাণ্ডিত্যের অভিমান তাহার ছিল না। ;-তিনি যে কাঙ্গাল। সেই কাঙ্গালের সাধনলব্ধ কথাই ব্ৰহ্মাণ্ডবেদে লিখিত হইয়াছে এবং তাহাই আমি উপরে উদ্ধৃত করিলাম। একটা স্থান আমি বড় অক্ষরে দিয়াছি; কারণ কাঙ্গালের সাকার নিরাকার সম্বন্ধে কি মত ছিল, তাহার আভাস ঐ কথায় পাওয়া যায়। যদি পাঠকগণের ধৈৰ্য্যের সীমা অতিক্রান্ত না হইয়া থাকে, যদি তঁহারা গল্প কবিতা প্রভৃতি পাঠের সঙ্গে সঙ্গে এই মহত্তর ও কল্যাণপ্ৰদ বিষয়ে কিঞ্চিৎ মনঃসংযোগ করিতে স্বীকৃত হন, তাহা হইলে সাকার নিরাকার এৰং আত্ম ও সাধনতত্ত্ব সম্বন্ধে কাঙ্গাল হরিনাথ কি কি কথা বলিয়াছেন, তাহা অতি সংক্ষেপে পাঠকগণের সম্মুখে উপস্থাপিত করিবার চেষ্টা করিব। এইবার কাঙ্গালের একটি গান শুনুন। কাঙ্গালের কথাতেই অনেক বিষয় অনেকের নিকট স্পষ্ট হইয়া থাকে, কারণ তিনি যাহা হৃদয়ে উপলব্ধি করিয়াছিলেন, তাহাই প্ৰাণের আবেগে লিপিবদ্ধ করিয়াছিলেন ; লিপিকুশলতা বা পাণ্ডিত্য-প্ৰদৰ্শন তাহার অভিপ্রেত ছিল না ; তাই তাহার কথা বুঝিতে কষ্ট হয় না—তাহার কথা অতি সরল। কিন্তু তিনি যখন র্তাহার সেই সকল সাধনলব্ধ তত্ত্ব গানে প্ৰকাশ করিয়াছেন, তখন নিরক্ষর ব্যক্তি পৰ্যন্তও সকল কথা জলের মত বুঝিতে পারিতেন। সেই জন্যই আমি যখন তখনই কাঙ্গালের রচিত গান তুলিয়া দিয়াছি। আমার 8 R